back to top

আমাদের ছোট নদী কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর রচন

আমাদের ছোট নদী কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর রচনা

কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | প্রকাশকাল: ১৯০৩ | কাব্যগ্রন্থ: শিশু

আমাদের ছোট নদী কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূমিকা

বাংলা সাহিত্যের অমর স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমাদের ছোট নদী” একটি অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় শিশু কবিতা। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত “শিশু” কাব্যগ্রন্থে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়। সরল ভাষায় রচিত এই কবিতা বাংলাদেশ ও ভারতের স্কুল পাঠ্যসূচীতে দীর্ঘকাল ধরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এই কবিতায় প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক, বিশেষ করে ছোট নদীর সাথে শিশুদের সম্পর্ক, অসাধারণ কাব্যিক ভাষায় তুলে ধরেছেন।

কবিতাটি শুধু শিশুদের মনোরঞ্জন করেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর মাধ্যমে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, পরিবেশ সচেতনতা এবং জীবনের মৌলিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়। নদীর সৌন্দর্য, তার গতিবিধি এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামীণ জীবনযাত্রার সাথে শিশুদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক চিত্রিত করেছেন কবি। এই কবিতা শিশুদের মধ্যে কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে সাহায্য করে।

গ্রামীণ বাংলার ছোট নদী

সম্পূর্ণ কবিতা: আমাদের ছোট নদী

আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।

আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।

সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।

আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।।

কবিতার নাম: আমাদের ছোট নদী
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশকাল: ১৯০৩
কাব্যগ্রন্থ: শিশু

কবিতার বিশ্লেষণ

“আমাদের ছোট নদী” কবিতাটি বাংলা শিশু সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। কবিতাটি সহজ ও অনাড়ম্বর ভাষায় লেখা হলেও এর মধ্যে আছে গভীর অর্থ ও সৌন্দর্য। নিম্নে এই অমর কবিতাটির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হল:

মূলভাব

কবিতার মূল বিষয়বস্তু হল একটি ছোট নদী এবং তার সাথে গ্রামীণ জীবনের সম্পর্ক। কবি এই নদীকে আমাদের বলে সম্বোধন করে নদীর সাথে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক ও আপনত্ব প্রকাশ করেছেন। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে নদীর রূপ ও স্বভাবের পরিবর্তন এবং গ্রামীণ জীবনে তার প্রভাব কবিতার কেন্দ্রীয় বিষয়।

প্রকৃতি চিত্রণ

কবিতায় ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে নদীর রূপের পরিবর্তন অসাধারণভাবে চিত্রিত হয়েছে। বৈশাখে অল্প জল, হেমন্তে কুয়াশাচ্ছন্ন জল, বর্ষায় ফেঁপে ওঠা নদী – এই বর্ণনাগুলি পাঠককে বাংলার প্রকৃতি এবং ঋতুচক্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এছাড়া, শিরীষ গাছ, ধানের ক্ষেত, ডাহুক পাখি ইত্যাদির উল্লেখ বাঙালির গ্রামীণ পরিবেশের জীবন্ত চিত্র তুলে ধরে।

গ্রামীণ জীবনচিত্র

কবিতাটিতে গ্রামীণ জীবনযাত্রার বিভিন্ন দিক উপস্থাপিত হয়েছে। সন্ধ্যায় ঘাটে আসা গ্রামের মেয়েরা, মাথায় করে জল নিয়ে যাওয়া, পাল তুলে নৌকার যাতায়াত, চাষের মাঠ – এসব চিত্র গ্রামীণ বাংলার জীবনধারার সাথে পাঠককে পরিচিত করে। নদী শুধু জলসম্পদ নয়, গ্রামীণ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে।

স্মৃতিচারণ

“নদীটি আমার শিশুকাল হতে জানি” – এই লাইনে কবি ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা করেছেন। কবিতার বর্ণনায় শৈশবের অভিজ্ঞতা, খেলা এবং প্রকৃতির সাথে মিথস্ক্রিয়ার আনন্দ প্রকাশ পেয়েছে। এই স্মৃতিচারণ পাঠকের নিজের শৈশবকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

ভাষা ও ছন্দ

সহজ-সরল ভাষা এবং মিল-যুক্ত ছন্দে রচিত এই কবিতাটি শিশুদের জন্য সহজবোধ্য এবং আকর্ষণীয়। প্রতিটি লাইনের শেষে মিল রয়েছে (বাঁকে-থাকে, সাথে-স্রোতে, জলে-কূলে), যা কবিতাটিকে ছন্দোময় ও সঙ্গীতময় করে তুলেছে। বর্ণনামূলক ভাষা পাঠকের চোখের সামনে একটি জীবন্ত চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

পরিবেশ সচেতনতা

কবিতাটি নদী ও প্রকৃতির প্রতি মানুষের সম্পর্ক এবং নির্ভরতা তুলে ধরে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেয়। নদী প্রকৃতির একটি অংশ যা গ্রামবাসীদের জীবনে অপরিহার্য। এর মাধ্যমে প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হয়েছে।

ইংরেজি অনুবাদ

Our Little River

Our little river flows with many bends,
In the month of Baishakh, its water only knee-deep extends.
To cross it, we need a walking stick at hand,
We can walk through its current, on its riverbed stand.

All day long we play in its water with joy,
All day long on its banks, many stories we deploy.
In the evening, village women come to the ghat,
Carrying water on their heads, to homes they go back.

On foggy Hemanta mornings, with mist-covered water,
The Bou-Katha-Kao bird calls from under the Shirish tree shelter.
The sun rises over paddy fields, fog clears away,
The little river sparkles at the ghat in broad day.

Then comes the monsoon, with clouds filling the sky,
The small river swells up to the doorstep high.
Beyond the village limits, into the village core,
Water comes, flooding farmlands and homes galore.

This river I’ve known since my childhood days,
In the heat, even a drop of its water decays.
Boats with sails come from the other shore –
Neck-deep water, with herons standing on either shore.

হিন্দি অনুবাদ

हमारी छोटी नदी

हमारी छोटी नदी बहती है मोड़ दर मोड़,
बैसाख महीने में पानी रहता घुटनों तक जोड़।
पार करने को हाथ में लाठी लेनी होती है साथ,
धारा में तेज़ चलने की कर लेते हम बात।

सारा दिन कितना खेलते हैं उसके जल में,
सारा दिन कितनी बातें करते हैं उसके तट पे।
शाम होते ही घाट पर आती हैं गाँव की महिलाएँ,
सिर पर जल लेकर घर-घर जाती हैं वे।

हेमंत की सुबह में कोहरे से भरे जल में,
बौ-कथा-कओ पक्षी पुकारता शिरीष के नीचे।
धान के खेतों में सूरज उगता, कोहरा छंटता,
छोटी नदी चमकती है घाट पर जैसे।

उसके बाद बरसात आती, बादलों से भरे दिन,
फूल जाती है छोटी नदी, दहलीज़ तक बढ़ जाती।
गाँव की सीमा छोड़ कर गाँव के भीतर
पानी आता, भर जाते खेत और घर।

नदी को मैं बचपन से जानता हूँ,
गर्मी में सूख जाती एक बूँद पानी।
पाल खोल कर नावें चलती उस पार से –
गले तक जल, बगुले खड़े दोनों किनारों पर।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিতি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, দার্শনিক, চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং সমাজসংস্কারক ছিলেন। তিনি ১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন, ১৯১৩ সালে তাঁর “গীতাঞ্জলি” কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম বিপুল ও বিচিত্র। তিনি কবিতা, গান, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, চিঠিপত্র ইত্যাদি সাহিত্যের প্রায় সমস্ত শাখায় অবদান রেখেছেন। তাঁর রচিত “গীতাঞ্জলি”, “সোনার তরী”, “বলাকা”, “পূরবী”, “শিশু”, “চিত্রা”, “গীতিমাল্য” ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের মণিকোঠায় স্থান লাভ করেছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা” এবং ভারতের জাতীয় সংগীত “জন গণ মন” রচনা করেছেন।

শিশু সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ অসামান্য অবদান রেখেছেন। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত “শিশু” কাব্যগ্রন্থটি বাংলা শিশু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই কাব্যগ্রন্থে “আমাদের ছোট নদী” কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শিশুদের প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে পরিচয় করায়।

সাহিত্যিক গুরুত্ব ও প্রভাব

“আমাদের ছোট নদী” কবিতাটি বাংলা শিশু সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। কবিতাটির সাহিত্যিক গুরুত্ব ও প্রভাব নিম্নরূপ:

শিশু সাহিত্যে অবদান

রবীন্দ্রনাথের “শিশু” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত এই কবিতাটি বাংলা শিশু সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। কবিতাটির সহজ ভাষা, ছন্দোময়তা এবং প্রকৃতি বর্ণনা শিশুদের কল্পনাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে শিশুরা প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঋতুচক্র এবং গ্রামীণ জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।

প্রকৃতি কবিতা হিসেবে

কবিতাটি প্রকৃতি কবিতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রবীন্দ্রনাথ তাঁর অসাধারণ কাব্যশক্তি দিয়ে একটি ছোট নদীর রূপ-রস-গন্ধ এবং তার পরিবর্তনশীল চরিত্র এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে পাঠক নদীটিকে প্রত্যক্ষ অনুভব করতে পারে। এই ধরনের প্রকৃতি বর্ণনা বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র

কবিতাটি বাংলার গ্রামীণ জীবনের একটি বাস্তব ও জীবন্ত চিত্র তুলে ধরে। নদী কেন্দ্রিক গ্রামীণ সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক – যেমন জল সংগ্রহ, কৃষিকাজ, নৌকা চলাচল ইত্যাদি কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। এটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

পাঠ্য পুস্তকের অংশ

কবিতাটি দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্কুলের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শিশুরা বাংলা সাহিত্য, ভাষার সৌন্দর্য এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা শিখে আসছে। পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি এর সাহিত্যিক গুরুত্ব ও মূল্যকে প্রমাণ করে।

“আমাদের ছোট নদী” কবিতাটি শুধু একটি শিশু কবিতা নয়, এটি প্রকৃতি, সমাজ ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাঙালি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধারণ করে রেখেছে।

শিক্ষামূলক গুরুত্ব

“আমাদের ছোট নদী” কবিতাটি শিক্ষামূলক দিক থেকে বহুমাত্রিক গুরুত্ব বহন করে। এই কবিতা শিশুদের নানাবিধ দক্ষতা ও জ্ঞান বিকাশে সাহায্য করে:

ভাষা শিক্ষা

কবিতাটি শিশুদের বাংলা ভাষা শিক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। সহজ-সরল শব্দ ব্যবহার, ছন্দোময়তা এবং মিলযুক্ত বাক্য শিশুদের ভাষাজ্ঞান, শব্দভাণ্ডার এবং উচ্চারণ দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ঋতুর নাম, প্রাকৃতিক বিষয়াদি সম্পর্কে শিশুরা জানতে পারে।

পরিবেশ শিক্ষা

কবিতাটির মাধ্যমে শিশুরা প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঋতুচক্র, নদীর গুরুত্ব এবং পরিবেশের সাথে মানুষের সম্পর্ক সম্পর্কে শিখতে পারে। এটি পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগাতে সাহায্য করে।

সামাজিক শিক্ষা

গ্রামীণ জীবনের বর্ণনার মাধ্যমে কবিতাটি শিশুদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে শিক্ষা দেয়। গ্রামীণ অর্থনীতি, জীবনযাত্রা, প্রথা, ঐতিহ্য এবং সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে তারা জানতে পারে।

সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি

কবিতাটির বিভিন্ন চিত্রকল্প ও বর্ণনা শিশুদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তারা মনে মনে নদী, গ্রাম, ঋতু পরিবর্তনের দৃশ্য কল্পনা করতে শেখে, যা তাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

মূল্যবোধ শিক্ষা

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি, সৌন্দর্যবোধ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি শ্রদ্ধা – এসব মূল্যবোধ শিশুরা কবিতাটি থেকে শিখতে পারে। এই শিক্ষা তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: আমাদের ছোট নদী কবিতাটি কে লিখেছেন?

উত্তর: আমাদের ছোট নদী কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন। এটি তাঁর “শিশু” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি বিখ্যাত কবিতা।

প্রশ্ন: আমাদের ছোট নদী কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর: আমাদের ছোট নদী কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শিশু” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯০৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রশ্ন: আমাদের ছোট নদী কবিতার মূলভাব কী?

উত্তর: আমাদের ছোট নদী কবিতার মূলভাব হল একটি ছোট নদী এবং বিভিন্ন ঋতুতে তার রূপ পরিবর্তন, আর সেই নদীর সাথে গ্রামীণ জীবনের নিবিড় সম্পর্ক। কবিতাটি প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তুলে ধরে এবং গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্য ও সরলতা প্রকাশ করে।

প্রশ্ন: বৈশাখ মাসে নদীতে কতটুকু জল থাকে?

উত্তর: কবিতা অনুসারে, বৈশাখ মাসে নদীতে হাঁটু পরিমাণ জল থাকে। কবিতায় বলা হয়েছে – “বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।”

প্রশ্ন: বর্ষা কালে নদীর অবস্থা কেমন হয়?

উত্তর: বর্ষা কালে নদী ফেঁপে ওঠে এবং গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে গ্রামের ভিতরের দিকে জল প্রবেশ করে। কবিতায় বলা হয়েছে – “ফেঁপে ওঠে ক্ষুদ্র নদী, চৌকাঠ-লীন। গ্রামের সীমানা ছেড়ে গ্রামের ভিতর জল আসে, থইথই করে চাষের মাঠ, ঘর।”

প্রশ্ন: হেমন্তের সকালে নদীর কী রূপ দেখা যায়?

উত্তর: হেমন্তের সকালে নদীর জল কুয়াশায় ঢাকা থাকে। সূর্য উঠলে এবং কুয়াশা কাটলে নদীর জল ঝিকমিক করতে থাকে। কবিতায় বলা হয়েছে – “হেমন্তের সকালে কুয়াশা ভরা জলে বউ কথা কও পাখি ডাকে শিরীষ-তলে। ধানের ক্ষেতে রোদ ওঠে, কুয়াশা কাটে, ছোট্ট নদী ঝিকমিক করে যায় ঘাটে।”

কবিতার আবৃত্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমাদের ছোট নদী” কবিতার সুমধুর আবৃত্তি শুনতে নিচের ভিডিওটি দেখুন:

ভিডিও ক্রেডিট: বাংলা সাহিত্য আর্কাইভ

ট্যাগ সমূহ

আমাদের ছোট নদী কবিতা
আমাদের ছোট নদী কবিতা লিরিক্স
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের ছোট নদী কবিতার মূলভাব
শিশু কাব্যগ্রন্থ
বাংলা শিশু কবিতা
আমাদের ছোট নদী কবিতার ইংরেজি অনুবাদ


© ২০২৪ বাংলা সাহিত্য প্রেমীদের জন্য। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।মূল কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মুক্তিযুদ্ধের গানের তালিকা: যে সুরে কেঁদেছে বাংলাদেশ

 /* Global Styles */ body { font-family: 'Noto Serif Bengali', serif; background-color: #fdfdfd; color: #333; margin: 0;...

ভালো হিন্দি গান | ৫০০+ সেরা বলিউড গানের সম্পূর্ণ তালিকা ২০২৫

ভালো হিন্দি গান আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আবেগ এবং অনুভূতির সাথে জড়িত। বলিউডের সুরেলা জগতে রয়েছে হাজারো মধুর গান যা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।...

৫০টি সুপারহিট হিন্দি গান | All Time Superhit

"হিন্দি গান" আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সুন্দর করে তোলে। বলিউডে বিভিন্ন ঘরানার গান তৈরি হয়েছে, যা আমাদের প্রেম, দুঃখ, আনন্দ, এবং স্মৃতিকে আরও...

2000+ বিশ্বের সব টিভি চ্যানেল | সব দেশের এবং সবধরনের ক্যাটাগরি

আধুনিক যুগে বিশ্বের সব টিভি চ্যানেল সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দেশে রয়েছে নিজস্ব টেলিভিশন নেটওয়ার্ক যা স্থানীয় সংস্কৃতি, ভাষা এবং বিনোদনের চাহিদা পূরণ...

আলিশা চিনয় – বলিউডের বেবি ডল | ২৭ টি বিখ্যাত গান

আলিশা চিনয় - বলিউডের কুইন অফ ইন্ডি পপ | সেরা গানের সংগ্রহ🎵 এই আর্টিকেলে যা পাবেন:🎶 আলিশা চিনয় কেন এত জনপ্রিয়? 👑 আলিশা...