back to top

মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই: বাংলাদেশে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ গাইড

- Advertisement -

মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই: বাংলাদেশে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ গাইড

📅 আপডেট: মে ২০২৩
⏱️ পড়তে সময় লাগবে: ৮ মিনিট


মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

মোবাইল ফোনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই এখন অনেক সহজ ও দ্রুত

ভূমিকা

জন্ম নিবন্ধন হলো একটি দেশের নাগরিকদের পরিচয় প্রমাণের মৌলিক দলিল। বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়, তাই এটির যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

আগে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট অফিসে যেতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে যেকোনো স্থান থেকে সহজেই জন্ম নিবন্ধনের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

জন্ম নিবন্ধন সনদের ১৭ ডিজিটের একটি বিশেষ নম্বর থাকে, যা জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের সময় প্রয়োজন হয়। এই নম্বরটি আপনার জন্ম সনদের উপরে উল্লেখ থাকে এবং এটি প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অনন্য।

জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের গুরুত্ব

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে:

সনদের সত্যতা নিশ্চিত করা

জন্ম নিবন্ধন সনদ আসল কিনা তা যাচাই করা সম্ভব, যা জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

সরকারি সেবা গ্রহণের সুবিধা

পাসপোর্ট, ভোটার আইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জন্ম নিবন্ধনের সত্যতা যাচাই করতে হয়।

শিক্ষা ও চাকরি সংক্রান্ত সুবিধা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং চাকরির আবেদনের সময় জন্ম তারিখ প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা হয়।

আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা

বিবাহ নিবন্ধন, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় ও উত্তরাধিকার নির্ধারণে জন্ম নিবন্ধনের সত্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাচাই পদ্ধতি এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী করেছে।

সাধারণ ব্যবহার:

প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে প্রায় ২৫,০০০ বার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা হয়, যার মধ্যে প্রায় ৬০% যাচাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের পদ্ধতিসমূহ

বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার তিনটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো হল:

  1. এসএমএস পদ্ধতি: মোবাইল ফোন থেকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এসএমএস পাঠিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা।
  2. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: বাংলাদেশ সরকারের “জন্ম নিবন্ধন” অ্যাপ ব্যবহার করে যাচাই করা।
  3. অনলাইন ওয়েবসাইট: মোবাইলের ব্রাউজার ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন পোর্টালে প্রবেশ করে যাচাই করা।

এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। চলুন, এখন প্রতিটি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন সেবা গ্রহণ আজ অনেক সহজ হয়েছে

মোবাইল অ্যাপ

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সবচেয়ে সহজ

এসএমএস পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

এসএমএস পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। এটি সবচেয়ে সহজ এবং যেকোনো ধরনের মোবাইল ফোনে (স্মার্টফোন বা ফিচার ফোন) ব্যবহার করা যায়। নিম্নে এসএমএস পদ্ধতির বিস্তারিত ধাপগুলি দেওয়া হলো:

এসএমএস ফরম্যাট

BRC <স্পেস> 17-ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর <স্পেস> জন্ম তারিখ (DD-MM-YYYY)

উদাহরণ: BRC 20052619851234567 01-05-2000

এসএমএস প্রেরণের ধাপসমূহ

  1. ফরম্যাট প্রস্তুত করুন: উপরে দেওয়া ফরম্যাটে আপনার তথ্য সাজিয়ে নিন। “BRC” লেখার পর একটি স্পেস দিন, এরপর ১৭-ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর, আবার একটি স্পেস, এবং শেষে জন্ম তারিখ লিখুন DD-MM-YYYY ফরম্যাটে (যেমন: 01-05-2000)।
  2. নম্বরে পাঠান: এসএমএসটি ১০৫ নম্বরে পাঠান।
  3. রেসপন্স প্রাপ্তি: কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি একটি রেসপন্স এসএমএস পাবেন, যেখানে জন্ম নিবন্ধনের সত্যতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৌলিক তথ্য (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ) উল্লেখ থাকবে।
  4. খরচ: প্রতিটি এসএমএস পাঠানোর জন্য আপনার মোবাইল অপারেটরের নিয়ম অনুযায়ী চার্জ কাটা হবে (বর্তমানে প্রায় ২.৫০ টাকা + ভ্যাট)।

সুবিধা:

  • যেকোনো ধরনের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যায় (ইন্টারনেট প্রয়োজন নেই)
  • দ্রুত ও সহজ প্রক্রিয়া
  • ২৪/৭ উপলব্ধ সেবা

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

জন্ম তারিখ অবশ্যই সঠিক ফরম্যাটে লিখতে হবে (DD-MM-YYYY), অন্যথায় সিস্টেম আপনার অনুরোধ প্রক্রিয়া করতে পারবে না।

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ “বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন” নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে, যার মাধ্যমে আপনি সহজেই জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারেন। এই অ্যাপটি বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে নাগরিকগণ দ্রুত ও সহজে সেবা পাচ্ছেন।

আরো জানুন : বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA): সম্পূর্ণ গাইড

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের ধাপসমূহ

  1. অ্যাপ ডাউনলোড: গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে “বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন” অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
  2. অ্যাপ ইনস্টল করুন: ডাউনলোড করা অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইনস্টল করুন।
  3. অ্যাপ খুলুন: ইনস্টল করা অ্যাপটি খুলুন এবং “জন্ম নিবন্ধন যাচাই” অপশনে ক্লিক করুন।
  4. তথ্য প্রদান: ১৭-ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করুন।
  5. যাচাই করুন: “যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন। সিস্টেম আপনার প্রদত্ত তথ্য যাচাই করে রেজাল্ট প্রদর্শন করবে। যদি তথ্য সঠিক হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য দেখাবে।

অ্যাপের সুবিধাসমূহ

  • ইন্টারফেস বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় উপলব্ধ
  • অফলাইন মোডে কাজ করতে পারে (একবার ডাটা লোড হলে)
  • নিরাপদ এবং গোপনীয়তা সংরক্ষিত
  • বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়

অতিরিক্ত ফিচার

  • জন্ম নিবন্ধন করার আবেদন করা যায়
  • নিবন্ধন সনদের কপি ডাউনলোড করা যায়
  • জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের আবেদন করা যায়
  • নিকটস্থ জন্ম নিবন্ধন অফিসের ঠিকানা দেখা যায়

বিশেষ সুবিধা:

অ্যাপের মাধ্যমে যাচাই করলে আপনি স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে পারেন, যা প্রয়োজনে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, অ্যাপটিতে আপনি একাধিক জন্ম নিবন্ধন সনদ সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, যা পরিবারের সদস্যদের জন্ম নিবন্ধন একসাথে রাখতে সুবিধা দেয়।

মোবাইলে ওয়েবসাইট থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে না চান, তাহলে আপনার মোবাইলের ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করেও জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারেন। এর জন্য বাংলাদেশ সরকারের জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইট bdris.gov.bd বা bris.gov.bd ব্যবহার করতে হবে।

ওয়েবসাইট থেকে যাচাইয়ের ধাপসমূহ

  1. ওয়েবসাইটে প্রবেশ: আপনার মোবাইলের ব্রাউজারে bdris.gov.bd বা bris.gov.bd ওয়েবসাইটে যান।
  2. “ভেরিফিকেশন” অপশন নির্বাচন: হোমপেজে “জন্ম নিবন্ধন যাচাই” অথবা “Verify Birth Registration” অপশনে ক্লিক করুন।
  3. তথ্য প্রদান: নির্ধারিত ফর্মে ১৭-ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করুন।
  4. ক্যাপচা কোড পূরণ: নিরাপত্তার জন্য ক্যাপচা কোড পূরণ করুন।
  5. যাচাই করুন: “যাচাই করুন” বা “Verify” বাটনে ক্লিক করুন। সিস্টেম আপনার প্রদত্ত তথ্য যাচাই করে ফলাফল প্রদর্শন করবে।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখুন:

  • উচ্চ স্পিডের ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করলে ভালো হয়।
  • কখনও কখনও সার্ভার বিজি থাকতে পারে, এক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন।
  • ওয়েবসাইটে সমস্যা হলে অ্যাপ ব্যবহার করুন, কারণ অ্যাপ অনেক সময় অধিক সহজে কাজ করে।
  • আপনার ইন্টারনেট ডাটা খরচ হতে পারে, তাই ওয়াই-ফাই কানেকশন ব্যবহার করলে সুবিধা হবে।

জানা দরকার:

এছাড়াও, services.nidw.gov.bd/nid-pub ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করা যায়, যা জন্ম নিবন্ধন সনদের বৈধতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

সাধারণ সমস্যা ও সমাধান

মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সময় কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ সমস্যা ও তাদের সমাধান দেওয়া হলো:

সমস্যা সমাধান
এসএমএস রেসপন্স না আসা
  • ফরম্যাট ঠিক আছে কিনা চেক করুন
  • মোবাইলে ব্যালেন্স আছে কিনা নিশ্চিত করুন
  • নেটওয়ার্ক কভারেজ চেক করুন
  • কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন
অ্যাপ ক্র্যাশ করা
  • অ্যাপ আপডেট করুন
  • ফোন রিস্টার্ট করুন
  • অ্যাপ আনইনস্টল করে আবার ইনস্টল করুন
“তথ্য পাওয়া যায়নি” মেসেজ
  • জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ ঠিক আছে কিনা চেক করুন
  • জন্ম তারিখের ফরম্যাট DD-MM-YYYY আকারে লিখুন
  • সিস্টেমে কোনো ত্রুটি থাকলে পরে আবার চেষ্টা করুন
ওয়েবসাইট লোড না হওয়া
  • ইন্টারনেট কানেকশন চেক করুন
  • ব্রাউজার ক্যাশে ক্লিয়ার করুন
  • অন্য ব্রাউজার ব্যবহার করুন
  • পরিবর্তে এসএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করুন

সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ:

জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে, আপনি ১০৫ হটলাইন নম্বরে কল করতে পারেন অথবা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন হেল্পডেস্কে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, আপনার স্থানীয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

জন্ম নিবন্ধন সনদের ১৭-ডিজিটের নম্বর কোথায় পাওয়া যাবে?

জন্ম নিবন্ধন সনদের উপরের দিকে “জন্ম নিবন্ধন নং:” এর পাশে ১৭-ডিজিটের একটি নম্বর লেখা থাকে। এটিই আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর।

জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য কত খরচ হয়?

এসএমএস পদ্ধতিতে প্রতিটি এসএমএস পাঠানোর জন্য আপনার মোবাইল অপারেটরের নিয়ম অনুযায়ী চার্জ হয় (বর্তমানে প্রায় ২.৫০ টাকা + ভ্যাট)। অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে শুধু ইন্টারনেট ডাটা খরচ হয়, অতিরিক্ত কোনো ফি নেই।

কি কি কারণে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা প্রয়োজন?

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা প্রয়োজন হয় যখন আপনি পাসপোর্ট তৈরি করাচ্ছেন, স্কুল/কলেজে ভর্তি হচ্ছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলছেন, বিবাহ নিবন্ধন করাচ্ছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করাচ্ছেন, বা সরকারি চাকরির আবেদন করছেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের সময় তথ্য ভুল পাওয়া গেলে কী করতে হবে?

জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের সময় তথ্য ভুল পাওয়া গেলে, আপনাকে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনি “বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন” অ্যাপে “তথ্য সংশোধন” অপশন ব্যবহার করতে পারেন অথবা নিকটস্থ জন্ম নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে কীভাবে নতুন কপি সংগ্রহ করা যাবে?

জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে, আপনি “বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন” অ্যাপের “ডুপ্লিকেট সনদের আবেদন” অপশন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, আপনি যে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন, সেখানে যেয়ে ডুপ্লিকেট সনদের জন্য আবেদন করতে পারেন।

উপসংহার

জন্ম নিবন্ধন যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা বাংলাদেশের নাগরিকদের সরকারি সেবা গ্রহণ ও আইনি কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়তা করে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন যাচাই প্রক্রিয়া এই কাজটিকে অনেক সহজ ও সময়সাশ্রয়ী করেছে। আপনি এসএমএস, মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট – যে পদ্ধতিতেই জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন না কেন, এটি আপনাকে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্যভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের এই উদ্যোগ নাগরিকদের জীবনকে আরও সহজ করেছে এবং সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও স্বচ্ছ করেছে। আশা করি, এই নির্দেশিকা আপনাকে মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেট:

বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিবন্ধন সিস্টেমকে আরও আধুনিক ও ব্যবহারবান্ধব করার লক্ষ্যে নিয়মিত আপডেট করছে। সর্বশেষ তথ্য ও আপডেটের জন্য bris.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করুন অথবা “বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন” অ্যাপের সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করুন।

প্রস্তুতকারক

এই নির্দেশিকাটি সরকারি ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল তথ্যসূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো ধরনের অসংগতি পরিলক্ষিত হলে, সরকারি নির্দেশনাকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করতে হবে।

 

Latest articles

Related articles