প্রভাস-এর সিনেমা: দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের অপরাজেয় বাহুবলী
প্রভাস-এর সিনেমা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প। উপপরিগ বেঙ্কটেশ বাবু, যিনি প্রভাস নামে সারা বিশ্বে পরিচিত, তিনি আজ কেবল তেলুগু চলচ্চিত্রের নয়, সমগ্র ভারতীয় সিনেমার অন্যতম বৃহত্তম তারকা। “বাহুবলী” সিরিজের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। মুভি রিভিউ ইন বাংলা সাইটে আমরা নিয়মিত দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার বিশ্লেষণ প্রকাশ করি। আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব প্রভাসের চলচ্চিত্র জগতে অসাধারণ অবদান, তার ব্লকবাস্টার ছবিসমূহ এবং ভারতীয় সিনেমায় তার বিপ্লবী প্রভাব নিয়ে।
📋
সূচিপত্র
প্রাথমিক জীবন ও ক্যারিয়ার শুরু
উপপরিগ বেঙ্কটেশ বাবু, যিনি প্রভাস নামে পরিচিত, ১৯৭৯ সালের ২৩ অক্টোবর চেন্নাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উপপরিগ সূর্যনারায়ণ রাও একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং মাতা শিবকুমারী একজন গৃহিণী। প্রভাস একটি চলচ্চিত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন – তার চাচা কৃষ্ণম রাজু একজন বিখ্যাত অভিনেতা। ছোটবেলা থেকেই প্রভাস অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং তার পারিবারিক পরিবেশ তাকে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশে উৎসাহিত করেছিল।
প্রভাস তার শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন হায়দ্রাবাদের শ্রী চৈতন্য কলেজে। তিনি বি.টেক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেছিলেন কিন্তু অভিনয়ের প্রতি আগ্রহের কারণে পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ২০০২ সালে তিনি “এষাণা” ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন এবং প্রথম ছবি থেকেই তার অভিনয় প্রতিভার পরিচয় দেন।
⭐ প্রেরণার উৎস
“আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যই সাফল্যের চাবিকাঠি। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।” – প্রভাস
ক্যারিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়
প্রথম পর্যায়: নতুন মুখ (২০০২-২০০৮)
প্রভাসের ক্যারিয়ারের প্রথম পর্যায়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। “এষাণা” (২০০২) দিয়ে শুরু হওয়া তার যাত্রায় “রাধাকৃষ্ণ” (২০০৫), “প্রেম” (২০০৭) এর মতো ছবি তাকে তেলুগু চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত করে। এই সময়ে তিনি প্রধানত রোমান্টিক এবং অ্যাকশন জেনারের ছবিতে কাজ করেছেন।
দ্বিতীয় পর্যায়: তারকা প্রতিষ্ঠা (২০০৯-২০১৪)
২০০৯ সালে “বিল্লা” ছবিতে প্রভাসের অভিনয় তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। “দর্লিং” (২০১০), “মির্চি” (২০১৩) এর মতো ছবি তাকে তেলুগু চলচ্চিত্রের প্রথম সারির তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই পর্যায়ে তার অভিনয়ে পরিপক্বতা এবং নতুন মাত্রা যোগ হয়।
তৃতীয় পর্যায়: আন্তর্জাতিক সুপারস্টার (২০১৫-২০২৫)
“বাহুবলী: দ্য বিগিনিং” (২০১৫) প্রভাসের ক্যারিয়ারে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে। এই ছবি তাকে শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তোলে। “বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন” (২০১৭) এর পর তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছান।
ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রসমূহ
১. বাহুবলী: দ্য বিগিনিং (২০১৫)
এস. এস. রাজামৌলি পরিচালিত এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র প্রভাসকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। ছবিটি ৬০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক স্থাপন করে। প্রভাসের দ্বৈত ভূমিকা (শিবুদু এবং বাহুবলী) ছিল অসাধারণ।
২. বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন (২০১৭)
বাহুবলী সিরিজের দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত পর্ব যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি হিসেবে রেকর্ড স্থাপন করে। ছবিটি ১৮০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে এবং “কেন কাট্টাপ্পা বাহুবলীকে হত্যা করেছিল?” প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে।
৩. সাহো (২০১৯)
বাহুবলীর পর প্রভাসের প্রথম ছবি “সাহো” একটি উচ্চ বাজেটের অ্যাকশন থ্রিলার। সুজিৎ পরিচালিত এই ছবিতে প্রভাস একজন আন্ডারকভার কপ চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি হিন্দি, তেলুগু, তামিল এবং মালয়ালম ভাষায় একযোগে মুক্তি পায়।
৪. রাধে শ্যাম (২০২২)
রাধা কৃষ্ণ কুমার পরিচালিত এই রোমান্টিক ড্রামা ছবিতে প্রভাস একজন জ্যোতিষী চরিত্রে অভিনয় করেন। পূজা হেগড়ের বিপরীতে তার রোমান্টিক চেমিস্ট্রি এবং ১৯৭০ দশকের ইউরোপিয়ান সেটিং ছিল ছবির বিশেষত্ব। মুভি রিভিউ ইন বাংলা সাইটে এই ছবির বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়।
৫. কল্কি ২৮৯৮ এডি (২০২৪)
নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই সাই-ফাই এপিক ছবিতে প্রভাস কল্কি অবতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সেট করা এবং হিন্দু পুরাণের সাথে আধুনিক প্রযুক্তির মিশ্রণ। দীপিকা পাদুকোন, অমিতাভ বচ্চনের সাথে প্রভাসের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
সম্পূর্ণ ফিল্মোগ্রাফি (২৫টি ছবি)
প্রভাসের ২২ বছরের ক্যারিয়ারে মোট ২৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নিচে তার সম্পূর্ণ ফিল্মোগ্রাফির বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো:
বছর | চলচ্চিত্র | পরিচালক | সহ-অভিনেত্রী | জেনার | বক্স অফিস |
---|---|---|---|---|---|
২০০২ | এষাণা | জয়ন্ত সি. পরাঞ্জি | সিয়া | রোমান্টিক ড্রামা | এভারেজ |
২০০৩ | রাঘাবেন্দ্র | সুরেশ কৃষ্ণা | স্নেহা | অ্যাকশন ড্রামা | ফ্লপ |
২০০৪ | বর্ষা | শোভন | ত্রিশা | রোমান্টিক | এভারেজ |
২০০৫ | আদুর্শ | বি. গোপাল | রীমা সেন | অ্যাকশন | ফ্লপ |
২০০৫ | চক্রম | কৃষ্ণ ভামসী | চর্মী কৌর | থ্রিলার | হিট |
২০০৬ | পুরন্ডরদাসু | কুন্দান শাহ | হংসিকা মোটওয়ানী | পৌরাণিক | ফ্লপ |
২০০৭ | যোগি | ভি. ভি. বিনায়ক | নয়নতারা | অ্যাকশন | এভারেজ |
২০০৮ | বুজ্জিগাড়ু | পুরী জগন্নাথ | ত্রিশা | অ্যাকশন কমেডি | হিট |
২০০৯ | বিল্লা | মীরা চোপড়া | অনুশকা শেট্টি | অ্যাকশন থ্রিলার | হিট |
২০১০ | দর্লিং | এ. কালিন্দী | কাজল | রোমান্টিক কমেডি | হিট |
২০১১ | মিস্টার পারফেক্ট | দাসারথ | কাজল | রোমান্টিক ড্রামা | হিট |
২০১২ | রেবেল | রাঘব লরেন্স | তমন্না ভাটিয়া | অ্যাকশন | এভারেজ |
২০১৩ | মির্চি | কোরাতাল শিবা | অনুশকা শেট্টি | অ্যাকশন রোমান্স | ব্লকবাস্টার |
২০১৫ | বাহুবলী: দ্য বিগিনিং | এস. এস. রাজামৌলি | অনুশকা শেট্টি | মহাকাব্যিক অ্যাকশন | ব্লকবাস্টার |
২০১৭ | বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন | এস. এস. রাজামৌলি | অনুশকা শেট্টি | মহাকাব্যিক অ্যাকশন | অল টাইম ব্লকবাস্টার |
২০১৯ | সাহো | সুজিৎ | শ্রদ্ধা কাপুর | অ্যাকশন থ্রিলার | এভারেজ |
২০২২ | রাধে শ্যাম | রাধা কৃষ্ণ কুমার | পূজা হেগড়ে | রোমান্টিক ড্রামা | এভারেজ |
২০২৩ | আদিপুরুষ | ওম রাউত | কৃতি সানন | পৌরাণিক | ব্যর্থ |
২০২৩ | সালার: পার্ট ১ | প্রশান্ত নিল | শ্রুতি হাসান | অ্যাকশন | হিট |
২০২৪ | কল্কি ২৮৯৮ এডি | নাগ অশ্বিন | দীপিকা পাদুকোন | সাই-ফাই এপিক | ব্লকবাস্টার |
২০২৫ | স্পিরিট | সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা | টিবিএ | অ্যাকশন | আপকামিং |
২০২৫ | সালার: পার্ট ২ | প্রশান্ত নিল | শ্রুতি হাসান | অ্যাকশন | আপকামিং |
২০২৬ | কল্কি ২৮৯৮ এডি: পার্ট ২ | নাগ অশ্বিন | দীপিকা পাদুকোন | সাই-ফাই এপিক | আপকামিং |
২০২৬ | রাজা সাব | মারুতি দাশারথ | টিবিএ | কমেডি ড্রামা | আপকামিং |
২০২৭ | ফৌজি | হনু রাঘবাপুড়ি | টিবিএ | যুদ্ধ ড্রামা | আপকামিং |
বাহুবলী ফেনোমেনন ও আন্তর্জাতিক সাফল্য
বিশ্বব্যাপী প্রভাব
বাহুবলী সিরিজ ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে। এই ছবি শুধু ভারতে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশংসিত হয়েছে। প্রভাসের মহারাজ বাহুবলী চরিত্র বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছে। ছবিটি ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা
বাহুবলী সিরিজ ভারতীয় চলচ্চিত্রে ভিজ্যুয়াল এফেক্টস এবং প্রোডাকশন ডিজাইনে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। প্রভাসের শারীরিক রূপান্তর এবং অভিনয়ের গভীরতা ছবিটিকে একটি বিশ্বমানের প্রযোজনায় পরিণত করেছে। মহিষ্মতী রাজ্যের বিশাল সেট এবং যুদ্ধের দৃশ্যগুলি আন্তর্জাতিক মানের।
🌍 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
- ৫০+ দেশে মুক্তি
- ১৫টি ভাষায় ডাবিং
- আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শনী
- টাইম ম্যাগাজিনে স্থান
- বিবিসি, সিএনএন-এ বিশেষ কভারেজ
বক্স অফিস রেকর্ড ও অর্জন
ব্যবসায়িক সাফল্য
প্রভাস ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল অভিনেতা। তার ছবিগুলির মোট ব্যবসা ৩০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাহুবলী ২ একাই ১৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের রেকর্ড স্থাপন করেছে। সাম্প্রতিক “কল্কি ২৮৯৮ এডি” ছবিটিও ১০০০+ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
মোট কর্মজীবন
২৫টি ছবি | ২২ বছর | ৩০০০+ কোটি ব্যবসা
সাফল্যের হার
৭০% হিট | ৫টি ব্লকবাস্টার | ৩টি অল টাইম হিট
সর্বোচ্চ আয়
বাহুবলী ২ – ১৮০০ কোটি | কল্কি – ১০০০+ কোটি
বিশেষজ্ঞদের মতামত ও ভবিষ্যৎ প্রকল্প
চলচ্চিত্র সমালোচক রাজীব মাসন্দের মতামত:
“প্রভাস ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছেন। তার অভিনয়ে রয়েছে গভীরতা এবং চরিত্রের প্রতি সম্পূর্ণ নিবেদন। বাহুবলী সিরিজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে ভারতীয় চলচ্চিত্র বিশ্বমানের হতে পারে।”
পরিচালক এস. এস. রাজামৌলির মন্তব্য:
“প্রভাসের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে রূপান্তরিত করতে পারেন। তার শৃঙ্খলা এবং পেশাদারিত্ব অনুকরণীয়। বাহুবলীর জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা অবিশ্বাস্য।”
আসন্ন প্রকল্পসমূহ
প্রভাসের হাতে বর্তমানে একাধিক বড় বাজেটের প্রকল্প রয়েছে। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার “স্পিরিট”, প্রশান্ত নীলের “সালার: পার্ট ২”, এবং “কল্কি ২৮৯৮ এডি: পার্ট ২” এর মতো প্রকল্প তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মুভি রিভিউ ইন বাংলা সাইটে আমরা এই সব আসন্ন ছবির আপডেট নিয়মিত প্রকাশ করি।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
প্রভাসের প্রথম ছবি কোনটি?
প্রভাসের প্রথম ছবি হলো ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “এষাণা”। জয়ন্ত সি. পরাঞ্জি পরিচালিত এই রোমান্টিক ড্রামায় সিয়ার বিপরীতে তার অভিষেক ঘটে।
প্রভাসের সবচেয়ে সফল ছবি কোনটি?
বক্স অফিসের বিবেচনায় প্রভাসের সবচেয়ে সফল ছবি হলো “বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন” যা ১৮০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবির রেকর্ড ধরে রেখেছে।
প্রভাস কি অন্য ভাষায় ছবি করেছেন?
হ্যাঁ, প্রভাস মূলত তেলুগু ছবিতে কাজ করলেও “সাহো”, “রাধে শ্যাম”, “আদিপুরুষ”, “কল্কি ২৮৯৮ এডি” এর মতো ছবি একযোগে হিন্দি, তামিল, মালয়ালম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে।
বাহুবলীর জন্য প্রভাস কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
বাহুবলীর জন্য প্রভাস পাঁচ বছর ধরে কঠোর শারীরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি ওজন বৃদ্ধি করেছেন, তলোয়ার যুদ্ধ এবং ঘোড়সওয়ারি শিখেছেন। তার ডেডিকেশন এবং কমিটমেন্ট ছবির সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রভাসের আসন্ন ছবিগুলো কী কী?
প্রভাসের আসন্ন ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে “স্পিরিট” (সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সাথে), “সালার: পার্ট ২”, “কল্কি ২৮৯৮ এডি: পার্ট ২”, “রাজা সাব”, এবং “ফৌজি”। এই সব ছবি ২০২৫-২০২৭ সালের মধ্যে মুক্তি পাবে।
প্রভাস কি কোনো পুরস্কার জিতেছেন?
হ্যাঁ, প্রভাস একাধিক পুরস্কার জিতেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নন্দী অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ, সিএমএ অ্যাওয়ার্ড এবং জি সিনে অ্যাওয়ার্ড। বাহুবলী সিরিজের জন্য তিনি বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছেন।
উপসংহার
প্রভাস-এর সিনেমার জগতে যাত্রা একটি অবিশ্বাস্য সাফল্যের গল্প। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি যে অসাধারণ কাজ করেছেন তা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একজন সাধারণ তেলুগু অভিনেতা থেকে আন্তর্জাতিক সুপারস্টার হয়ে ওঠার এই যাত্রায় তিনি প্রমাণ করেছেন যে প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের মাধ্যমে যেকোনো অসম্ভব লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
বাহুবলী সিরিজের মাধ্যমে প্রভাস যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তা কেবল তার নিজের ক্যারিয়ারের জন্য নয়, বরং সমগ্র ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি দেখিয়েছেন যে ভারতীয় ছবি আন্তর্জাতিক মানের হতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। মুভি রিভিউ ইন বাংলা সাইটে আমরা প্রভাসের সকল আসন্ন প্রকল্প নিয়ে নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করব।
আগামী দিনে প্রভাসের হাতে যে সব বিশাল প্রকল্প রয়েছে তা তার ক্যারিয়ারে নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে। “স্পিরিট”, “সালার ২”, “কল্কি ২” এর মতো ছবি তার শিল্পী জীবনে আরও গৌরব যোগ করবে। প্রভাস আজ শুধুমাত্র একজন অভিনেতা নন, তিনি একটি ব্র্যান্ড, একটি আবেগ এবং কোটি কোটি ভক্তের গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস।
👑 বাহুবলীর উত্তরাধিকার
“আমি চাই আমার ছবিগুলো শুধু বিনোদন না দিয়ে মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলুক। ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য।” – প্রভাস, ভারতীয় সিনেমার বাহুবলী