back to top

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমার সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা

- Advertisement -

 

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

বলিউডের আইকনিক অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টার অসাধারণ ক্যারিয়ার এবং তার মনোমুগ্ধকর সিনেমা সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড

প্রীতি জিন্টা – একটি পরিচিতি

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

প্রীতি জিন্টা বলিউডের একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী যিনি তার মনমুগ্ধকর অভিনয়, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফির জন্য পরিচিত। ১৯৯৮ সালে “দিল সে” সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটানোর পর থেকে, তিনি বলিউডের একজন আইকনিক অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা, আবেগপূর্ণ উপস্থাপন এবং চরিত্রে লীন হওয়ার ক্ষমতা তাকে বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই নিবন্ধে আমরা প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, তার সেরা কাজগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করব এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার অবদান তুলে ধরব।

প্রীতি জিন্টার বৈশিষ্ট্য

  • উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব
  • অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা
  • অনন্য টোয়েল ডিম্পল (গালে টোল)
  • বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ক্ষমতা
  • ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও সফলতা
  • সমাজসেবায় অবদান

প্রাথমিক জীবন ও ক্যারিয়ারের শুরু

প্রীতি জিন্টা ১৯৭৫ সালের ৩১শে জানুয়ারি হিমাচল প্রদেশের শিমলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দুর্গনন্দ জিন্টা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ছিলেন, এবং মা নীলপ্রভা জিন্টা একজন গৃহিণী ছিলেন। তার দুই ভাই – দীপঙ্কর ও মনীষ এবং এক বোন – প্রিয়া আছে।

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা
প্রীতি জিন্টা

প্রীতি জিন্টা - ক্যারিয়ারের শুরু

প্রীতি জিন্টা – ক্যারিয়ারের শুরু

প্রীতি সেন্ট বেড’স কনভেন্ট স্কুল, শিমলা থেকে শিক্ষা শুরু করেন এবং পরে লরেটো কলেজ, শিমলা থেকে পাস করেন। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

প্রীতি মডেলিং দিয়ে তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং পরে ১৯৯৬ সালে একটি চকলেট বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন, যা তাকে বলিউডের কাছে পরিচিত করে তোলে। মণিরত্নম পরিচালিত “দিল সে” (১৯৯৮) সিনেমায় শাহরুখ খান এবং মনীষা কৈরালার সাথে অভিনয় করে তিনি বলিউডে পদার্পণ করেন। যদিও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল “তারা রাম পাম পাম” (১৯৯৮)।

ক্যারিয়ারের সাফল্য

যদিও প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা “দিল সে” বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি, তার অভিনয় দক্ষতা সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ১৯৯৮ সালে, তিনি শোলে ডিরেক্টর রমেশ সিপ্পির “কয়া কেহনা” সিনেমায় সনি দেওলের সাথে অভিনয় করেন, যা তাকে ফিল্মফেয়ার বেস্ট নিউকামার ফিমেল অ্যাওয়ার্ড অর্জনে সাহায্য করে।

তারপর থেকে প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা গুলি বক্স অফিসে সাফল্য পেতে শুরু করে। ২০০০ সালে, তিনি শাহরুখ খানের সাথে “কভি খুশি কভি গম” এবং “কর কে না কর” সিনেমায় অভিনয় করেন, যা তাকে বলিউডের একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

প্রীতি জিন্টার মাইলস্টোন সিনেমা

  • দিল সে (১৯৯৮): মণিরত্নম পরিচালিত এই সিনেমায় তিনি আসন্ন আতঙ্কবাদী হামলা সম্পর্কে জানা এক সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন।
  • কয়া কেহনা (১৯৯৮): এই সিনেমায় নন্দিনি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার বেস্ট ডেবিউ পুরস্কার পান।
  • সোল্জার (১৯৯৮): বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া প্রথম সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • কর কে না কর (২০০০): এই রোমান্টিক কমেডিতে শাহরুখ খান সহ-অভিনেতা ছিলেন।
  • কভি খুশি কভি গম (২০০০): করণ জোহর পরিচালিত এই সিনেমা বলিউডের সুপারহিট সিনেমা হিসাবে পরিচিত।

২০০৩ সাল ছিল প্রীতি জিন্টার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট, যখন তিনি “কল” এবং “কোই… মিল গায়া” সিনেমায় অভিনয় করেন। “কল” একটি থ্রিলার সিনেমা, যেখানে তিনি একজন কলগার্লের চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তার অভিনয় দক্ষতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। “কোই… মিল গায়া”, যেখানে তিনি হৃতিক রোশনের সাথে অভিনয় করেন, বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং তার অভিনয়ের জন্য তিনি ব্যাপক প্রশংসা পান।

প্রীতি জিন্টার সেরা সিনেমা

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা গুলি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও গুণমান সম্পন্ন। তিনি রোমান্টিক কমেডি থেকে শুরু করে গম্ভীর ড্রামা, থ্রিলার, এবং ফ্যান্টাসিতে অভিনয় করেছেন। তার অসাধারণ সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

ভীর জারা - প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

ভীর জারা (২০০৪)

দিল চাহতা হ্যায় - প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

দিল চাহতা হ্যায় (২০০১)

লক্ষ্য - প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

লক্ষ্য (২০০৪)

কল হো না হো - প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

কল হো না হো (২০০৩)

সালাম নমস্তে - প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

সালাম নমস্তে (২০০৫)

কোই মিল গায়া - প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা

কোই মিল গায়া (২০০৩)

প্রীতি জিন্টার উল্লেখযোগ্য সিনেমা

  • ভীর জারা (২০০৪): যশরাজ ব্যানারের এই অবিস্মরণীয় সিনেমায় তিনি শাহরুখ খানের সাথে অভিনয় করেন। এই সিনেমায় তার অভিনয় তাকে ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাক্ট্রেস নমিনেশন এনে দেয়।
  • দিল চাহতা হ্যায় (২০০১): ফরহান আখতার পরিচালিত এই সিনেমায় তিনি আমির খানের বিপরীতে শিডি চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাকে একটি ভিন্ন চরিত্রে দেখার সুযোগ করে দেয়।
  • লক্ষ্য (২০০৪): এই যুদ্ধভিত্তিক ফিল্মে তিনি হৃতিক রোশনের সাথে অভিনয় করেন, যেখানে তিনি একজন পত্রিকার সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন।
  • কল হো না হো (২০০৩): করণ জোহর পরিচালিত এই রোমান্টিক ড্রামায় তিনি নয়না চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাকে একটি আবেগময় চরিত্রে ফুটিয়ে তোলে।
  • সালাম নমস্তে (২০০৫): সাইফ আলি খানের সাথে এই আধুনিক রোমান্টিক কমেডিতে তিনি অভিনয় করেন, যেখানে তিনি একজন স্বাধীনচেতা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা

প্রীতি জিন্টা তার অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:

প্রীতি জিন্টার অর্জিত পুরস্কার

  • ফিল্মফেয়ার বেস্ট ডেবিউ অ্যাওয়ার্ড (১৯৯৯): “কয়া কেহনা” সিনেমার জন্য।
  • ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাক্ট্রেস অ্যাওয়ার্ড নমিনেশন: “কল হো না হো”, “ভীর জারা”, “কোই… মিল গায়া” সিনেমার জন্য।
  • আইফা বেস্ট অ্যাক্ট্রেস অ্যাওয়ার্ড (২০০৩): “কল” সিনেমার জন্য।
  • জি সিনে অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট অ্যাক্ট্রেস (২০০৪): “ভীর জারা” সিনেমার জন্য।
  • স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড ফর স্টার অফ দ্য ইয়ার – ফিমেল (২০০৫): “ভীর জারা” সিনেমার জন্য।

এছাড়াও প্রীতি জিন্টা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি সান ফ্রান্সিসকো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে “হিন্দি সিনেমার রাজকুমারী” হিসেবে পরিচিত হন এবং ২০০৬ সালে, ইউনাইটেড কিংডমের হাউস অফ কমন্সে “ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য” সম্মানিত করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবন

প্রীতি জিন্টা তার ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কিছু উত্থান-পতন অতিক্রম করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ব্যবসায়ী নেস ওয়াডিয়ার সাথে সম্পর্কে ছিলেন, যা তাদের বিচ্ছেদে শেষ হয়। এরপর, জুন ২০১৬ সালে, তিনি লস এঞ্জেলেস ভিত্তিক ব্যবসায়ী জিন গুডইনাফের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং বর্তমানে তারা সুখে সংসার করছেন।

প্রীতি জিন্টা - ব্যক্তিগত জীবন

প্রীতি জিন্টা

প্রীতি জিন্টা - ব্যক্তিগত জীবন

প্রীতি জিন্টা – সেলিব্রিটি লাইফ

ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে, দম্পতি সারোগেসির মাধ্যমে যমজ সন্তান জায় এবং জিয়ার পিতামাতা হন। প্রীতি খুবই ব্যক্তিগত ব্যক্তি এবং তার পারিবারিক জীবন সম্পর্কে তিনি খুব কমই জনসমক্ষে আলোচনা করেন।

প্রীতি জিন্টা একজন সাহসী ও স্পষ্টবাদী মহিলা, যিনি সবসময় তার মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। ২০০৩ সালে, তিনি বম্বে গ্যাং ও মাফিয়াদের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পরেও সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে আসেন, যা তার সাহসিকতার পরিচয় দেয়।

ব্যবসায়িক উদ্যোগ

প্রীতি জিন্টা শুধু একজন সফল অভিনেত্রীই নন, বরং তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও। ২০১১ সালে, তিনি ক্রিকেটার নেস ওয়াডিয়ার সাথে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি কিনে নেন। তার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে:

প্রীতি জিন্টার ব্যবসায়িক উদ্যোগ

  • কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (২০০৮): আইপিএল ক্রিকেট টিমের সহ-মালিক।
  • পিজেড প্রোডাকশন (২০১১): নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস, যার মাধ্যমে তিনি “ইশকক ইন প্যারিস” সিনেমা প্রযোজনা করেন।
  • ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট: তিনি সময়ের সাথে সাথে ক্যাডবেরি, লিপটন, লেসিকোডার্মা, পেপসি, এসবিআই লাইফ ইন্স্যুরেন্স, উল্ট্রাটেকের মতো বড় ব্র্যান্ডের এন্ডোর্সমেন্ট করেছেন।

২০১৩ সালে, প্রীতি জিন্টা একজন প্রতিষ্ঠিত সেলিব্রিটি ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে উঠেন, যিনি বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসে বক্তব্য রাখতে এবং ব্যবসায়িক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

সমাজসেবা

প্রীতি জিন্টা সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি সবসময়ই সচেতন এবং বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন।

প্রীতি জিন্টার দাতব্য কাজ

  • প্রীতি জিন্টা ফাউন্ডেশন: ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, এই ফাউন্ডেশন বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের সাহায্য করে।
  • সুনামি ত্রাণ: ২০০৪ সালে, হিন্দ মহাসাগরে সংঘটিত সুনামির পর তিনি ত্রাণ কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
  • ওয়ান্ডারস ইন দ্য ওয়াইল্ড: তিনি ডিসকভারি চ্যানেলের এই শো-তে অংশগ্রহণ করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • এইডস সচেতনতা: তিনি এইডস সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং বিভিন্ন এইডস অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।

২০১০ সালে, প্রীতি জিন্টা তার সমাজসেবার জন্য ভারতীয় সরকার কর্তৃক “মহিলা শক্তি” পুরস্কারে ভূষিত হন, যা ভারতীয় নারীদের জন্য দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা।

বলিউডে অবদান ও উত্তরাধিকার

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা শুধু বলিউডেই নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতেও একটি অনন্য স্থান দখল করে আছে। তিনি এমন সময়ে বলিউডে এসেছিলেন যখন নায়িকাদের ভূমিকা প্রধানত নায়কদের সহযোগী হিসেবে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তিনি এমন সব চরিত্রে অভিনয় করতে বেছে নিয়েছিলেন যারা স্বাধীনচেতা, শক্তিশালী, এবং নিজস্ব পরিচয় সম্পন্ন ছিল।

বলিউডে প্রীতি জিন্টার অবদান অনেক। তিনি এমন একজন অভিনেত্রী যিনি শুধু তার সৌন্দর্য এবং অভিনয় দক্ষতার জন্যই নয়, বরং তার বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা এবং স্বতন্ত্র মতামতের জন্যও পরিচিত।

প্রীতি জিন্টার ঐতিহাসিক অবদান

  • শক্তিশালী নারী চরিত্র: তিনি এমন সময়ে শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন যখন অনেক নায়িকারা এখনও কেবল গ্ল্যামারাস ভূমিকায় আবদ্ধ ছিলেন।
  • বিভিন্ন ধরনের চরিত্র: রোমান্টিক নায়িকা থেকে ক্রিমিনাল, সাংবাদিক, শিক্ষিত পেশাদার – সব ধরনের চরিত্রেই তিনি অভিনয় করেছেন।
  • নারী ক্ষমতায়ন: তার অনেক সিনেমাতেই নারী ক্ষমতায়নের বার্তা ছিল, যা সমাজে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে।
  • ব্যবসায়িক পথপ্রদর্শক: তিনি বলিউডের প্রথম অভিনেত্রীদের একজন যারা আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজির মালিক হয়েছিলেন, এবং সেলিব্রিটি থেকে ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার পথে অন্যদের জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

এমনকি যখন তিনি সক্রিয় অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন, প্রীতি জিন্টা তখনও বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রভাব বজায় রেখেছিলেন, ক্রিকেট, ব্যবসা এবং সমাজসেবার মাধ্যমে। আজকের দিনে, তিনি তরুণ অভিনেত্রীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেন, যারা অভিনয় শিল্পে নিজেদের জায়গা করে নিতে চান।

সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

এখানে প্রীতি জিন্টা সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল:

প্রীতি জিন্টার বয়স কত?

প্রীতি জিন্টা ১৯৭৫ সালের ৩১শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। সুতরাং, ২০২৫ সালে তার বয়স ৫০ বছর।

প্রীতি জিন্টার স্বামী কে?

প্রীতি জিন্টার স্বামী হলেন জিন গুডইনাফ, একজন মার্কিন ব্যবসায়ী। তারা ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সালে লস এঞ্জেলেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

প্রীতি জিন্টা কেন সিনেমা বন্ধ করেন?

প্রীতি জিন্টা সিনেমা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করেননি, তবে তিনি ২০১৬ সালে বিবাহের পর বলিউডে তার সক্রিয় উপস্থিতি কমিয়ে দিয়েছিলেন। বিবাহ, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, এবং পরে সন্তান জন্মের কারণে তিনি সিনেমায় কম সক্রিয় হয়ে পড়েন। তবে, তিনি মাঝে মধ্যে বিশেষ ভূমিকা এবং মিডিয়া উপস্থিতির মাধ্যমে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংযুক্ত রয়েছেন।

প্রীতি জিন্টা এত বিখ্যাত কেন?

প্রীতি জিন্টা তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, এবং বিশেষ করে তার চেহারার একটি অংশ – তার বিখ্যাত ডিম্পল (টোল) এর জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, তিনি শক্তিশালী এবং স্বাধীনচেতা নারী চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন। তার ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা, সমাজকল্যাণে অবদান, এবং ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব তাকে শুধু বলিউডের একজন তারকা নয়, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

প্রীতি জিন্টার স্বামী কি করেন?

প্রীতি জিন্টার স্বামী জিন গুডইনাফ একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট। তিনি একটি মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থায় উচ্চ পদের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তিনি লস এঞ্জেলেসে বসবাস করেন এবং তাদের যমজ সন্তান জায় এবং জিয়া রয়েছে।

উপসংহার

প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা এবং ক্যারিয়ার বলিউড জগতের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, বরং একজন ব্যবসায়ী, একজন সমাজসেবী, এবং প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে, তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অনন্য স্থান অর্জন করেছেন।

প্রীতি জিন্টার সাফল্যের গল্প শুধু তার অভিনয় দক্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার সাহসিকতা, দৃঢ়তা এবং অবিচল সততা তাকে অন্যদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে একজন অভিনেত্রী হিসেবে শুধু সুন্দর দেখাই নয়, বরং তার মেধা, বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যবসায়িক দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

বলিউডে প্রীতি জিন্টা এর সিনেমা এবং অবদান আজও সমান প্রাসঙ্গিক এবং শক্তিশালী। তার কাজ নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে, যারা তার মতো সাহসী, স্বতন্ত্র এবং প্রতিভাবান হতে চান। প্রীতি জিন্টা – একজন তারকা, একজন ব্যবসায়ী, একজন ফিল্যানথ্রপিস্ট, এবং সর্বোপরি একজন শক্তিশালী নারী, যিনি তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন।

 

Latest articles

Related articles