বিজয়-এর সিনেমা: তামিল চলচ্চিত্রের অপরাজেয় রাজা
বিজয়-এর সিনেমা তামিল চলচ্চিত্র জগতের এক অসাধারণ গল্প। জোসেফ ভিজয় চন্দ্রশেখর, যিনি সাধারণভাবে ভিজয় নামে পরিচিত, ১৯৯২ সাল থেকে তামিল সিনেমায় রাজত্ব করছেন। “থালাপতি” উপাধিতে ভূষিত এই সুপারস্টার গত তিন দশকে ৬৮টি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
📋
সূচিপত্র
প্রাথমিক জীবন ও ক্যারিয়ার শুরু
জোসেফ ভিজয় চন্দ্রশেখর ১৯৭৪ সালের ২২ জুন তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এস. এ. চন্দ্রশেখর একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক, এবং মাতা শোভা চন্দ্রশেখর। চলচ্চিত্র জগতে বেড়ে ওঠা ভিজয়ের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল।
🎭 প্রেরণার উৎস
“অভিনয় শুধু পেশা নয়, এটি জীবনের অর্থ। দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে দেওয়াই আমার লক্ষ্য” – ভিজয়
সম্পূর্ণ ফিল্মোগ্রাফি (৬৮টি ছবি)
ভিজয়ের ৩০+ বছরের ক্যারিয়ারে মোট ৬৮টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নিচে তার সম্পূর্ণ ফিল্মোগ্রাফির বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো:
বছর | চলচ্চিত্র | পরিচালক | সহ-অভিনেত্রী | জেনার |
---|---|---|---|---|
১৯৯২ | নালায়া থেয়রভু | এস. এ. চন্দ্রশেখর | সঙ্গীতা | রোমান্স/ড্রামা |
১৯৯৩ | সেনাধিপতি | এস. এ. চন্দ্রশেখর | মধু | অ্যাকশন |
১৯৯৪ | রাজাভিন পার্ভাইয়িলে | এস. এ. চন্দ্রশেখর | আজিত কুমার | পারিবারিক |
১৯৯৫ | দুদে | এস. এ. চন্দ্রশেখর | রাম্যা কৃষ্ণান | রোমান্স |
১৯৯৬ | ভাসালিলে | কে. সেলভারাগাভান | সোনালী বেন্দ্রে | অ্যাকশন/রোমান্স |
১৯৯৭ | ভিশু | এস. এ. চন্দ্রশেখর | সঙ্গীতা | অ্যাকশন |
১৯৯৮ | নিলাভে ভা | সুরেশ কৃষ্ণা | সুভলক্ষ্মী | রোমান্স |
১৯৯৯ | থুলাভনম | কস্তুরী রাজা | সিমরান | রোমান্স/ড্রামা |
২০০০ | কুশি | এস. জে. সুর্যা | জ্যোতিকা | রোমান্টিক কমেডি |
২০০১ | ফ্রেন্ডস | সিদ্দিক | সুরিয়া | কমেডি |
২০০২ | তমিলজান | মজিথ | প্রিয়াঙ্কা | রোমান্স |
২০০৩ | ভেয়িল | বালা | ভানু | ড্রামা |
২০০৪ | ঘিল্লি | ধরণী | ত্রিশা | অ্যাকশন/রোমান্স |
২০০৫ | থিরুপাচি | পেরারাসু | ত্রিশা | অ্যাকশন |
২০০৬ | আদাই | রমনা | ত্রিশা | অ্যাকশন |
২০০৭ | পোক্কিরি | প্রভুদেবা | অসিন | অ্যাকশন |
২০০৮ | কুরুভি | ধরণী | ত্রিশা | অ্যাকশন |
২০০৯ | ভিল্লু | প্রভুদেবা | নয়ন্তারা | অ্যাকশন |
২০১০ | সুরা | এস. পি. রাজকুমার | তামান্না | অ্যাকশন |
২০১১ | কাভালান | সিদ্দিক | অসিন | রোমান্স |
২০১২ | থুপ্পাক্কি | এ. আর. মুরুগদোষ | কাজাল আগরওয়াল | অ্যাকশন/থ্রিলার |
২০১৩ | থালাইভা | এ. এল. ভিজয় | অমালা পল | অ্যাকশন |
২০১৪ | জিল্লা | নিশান্ত | কাজাল আগরওয়াল | অ্যাকশন |
২০১৫ | পুলি | চিম্বু দেবেন | শ্রুতি হাসান | ফ্যান্টাসি |
২০১৬ | থেরি | আত্লি | সমন্থা রুথ প্রভু | অ্যাকশন/ড্রামা |
২০১৭ | মার্সাল | আত্লি | নয়ন্তারা | অ্যাকশন |
২০১৮ | সর্কার | এ. আর. মুরুগদোষ | কীর্তি সুরেশ | রাজনৈতিক থ্রিলার |
২০১৯ | বিগিল | আত্লি | নয়ন্তারা | ক্রীড়া/ড্রামা |
২০২১ | মাস্টার | লোকেশ কানাগরাজ | মালবিকা মোহনন | অ্যাকশন/থ্রিলার |
২০২৩ | ভারশা | ভামশি পাইদিপাল্লি | রাশমিকা মন্দানা | পারিবারিক/ড্রামা |
২০২৪ | দ্য গোট | ভেঙ্কট প্রভু | মেনকা সুরেশ | অ্যাকশন/থ্রিলার |
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
❓ ভিজয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি কোনটি?
ভিজয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি “ঘিল্লি” (২০০৪)। এই ছবিটি তামিল চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যার রেকর্ড করে এবং তাকে সুপারস্টার মর্যাদায় উন্নীত করে।
❓ ভিজয় কতটি ছবিতে অভিনয় করেছেন?
ভিজয় তার ৩০+ বছরের কর্মজীবনে মোট ৬৮টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার প্রায় সব ছবিই বক্স অফিসে সফল হয়েছে এবং “থালাপতি” উপাধি অর্জন করেছেন।
❓ বিজয়-এর সিনেমা কেন এত জনপ্রিয়?
ভিজয়ের সিনেমা জনপ্রিয় কারণ তার ছবিতে থাকে পারিবারিক মূল্যবোধ, সামাজিক বার্তা এবং দুর্দান্ত বিনোদন। তিনি সব বয়সের দর্শকদের কাছে প্রিয় এবং তার “মাস ইমেজ” অপ্রতিরোধ্য।
❓ বর্তমানে ভিজয়ের ছবি কোথায় দেখা যায়?
ভিজয়ের সব ছবি আমাদের ওয়েবসাইটে রিভিউ এবং তথ্য পাওয়া যায়। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টার এবং সান এনএক্সটি প্ল্যাটফর্মে তার ছবিগুলো দেখা যায়।
🎬 সিনেমা প্রেমীদের জন্য
“ভিজয়ের সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, এটি তামিল সংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ”
📚 আরও পড়ুন
তামিল চলচ্চিত্র এবং দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এখানে পাবেন বিস্তারিত রিভিউ, অভিনেতাদের জীবনী এবং তামিল চলচ্চিত্রের ইতিহাস।