back to top

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত: আরনব-পাখির অমর প্রেমকাহিনী

- Advertisement -

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত

বাংলা টেলিভিশনের সেরা রোমান্টিক ধারাবাহিক ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’র সম্পূর্ণ কাহিনী, চরিত্র এবং জনপ্রিয়তার গল্প

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখাও, বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ অব্দি

বোঝেনা সে বোঝেনা: পরিচিতি

‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ স্টার জলসা চ্যানেলে প্রচারিত একটি বাংলা রোমান্টিক টেলিভিশন সিরিয়াল, যা ২০১০ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রচারিত হয় এবং ২০১৬ সালে শেষ হয়। প্রায় ৬ বছর ধরে এই সিরিয়ালটি বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। গৌরী প্রসাদ মুখার্জী (যিনি আরনব এবং নেহা নামেও পরিচিত) এবং ঋদ্ধিমা (যিনি পাখি হিসেবেও পরিচিত) এই সিরিয়ালের কেন্দ্রীয় চরিত্র।

রেহান রায় এবং সোহিনী সেনগুপ্ত মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তাদের অভিনয় দক্ষতা ও রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। ধারাবাহিকটি সিদ্ধার্থ সেন দ্বারা পরিচালিত এবং রাজ চক্রবর্তী দ্বারা প্রযোজিত। সিরিয়ালের থিম সং “বোঝেনা সে বোঝেনা” দর্শকদের মধ্যে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে এটি সেই সময়ের সবচেয়ে প্রচলিত বাংলা টেলিভিশন থিম সংগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছিল।

গল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বোঝেনা সে বোঝেনা হল আরনব এবং পাখির প্রেমের গল্প। আরনব একজন সফল ব্যবসায়ী যিনি বাইরে থেকে কঠোর মনোভাবের দেখালেও ভেতরে অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের অধিকারী। পাখি একজন সাধারণ মেয়ে যিনি জীবনে অনেক বাধা অতিক্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করেন। একটি অদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাদের দেখা হয় এবং ধীরে ধীরে তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু বিভিন্ন ভুল বোঝাবুঝি, পারিবারিক বাধা, প্রতিদ্বন্দ্বী, এবং অতীতের রহস্য তাদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

“বোঝেনা সে বোঝেনা আমাকে, কেন যে পথে থাকি তার চোখে চোখে
এই ভালোবাসা, এই ভালোবাসা
কেন যে ফোটে আমার প্রতি নিঃশ্বাসে…”

সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ ছিল আরনব এবং পাখির বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক যা ধীরে ধীরে গভীর প্রেমে পরিণত হয়। তাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন, ভুল বোঝাবুঝি, এবং পুনর্মিলন দর্শকদের আবেগের দোলাচল অনুভব করিয়েছিল। সিরিয়ালটি প্রেম, পরিবার, বন্ধুত্ব, এবং আত্মবিশ্বাসের মত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে যা এটিকে শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, একটি জীবনবোধের গল্পেও পরিণত করেছিল।

প্রধান চরিত্রসমূহ

আরনব মুখার্জী (নেহা)

অভিনেতা: রেহান রায়

একজন সফল ব্যবসায়ী যিনি বাইরে কঠোর এবং রাগী দেখালেও ভেতরে অত্যন্ত সংবেদনশীল। তার অতীতে একটি গভীর আঘাত আছে যা তাকে মানুষের উপর অবিশ্বাস করতে শিখিয়েছে। পাখির সাথে দেখা হওয়ার পর তার জীবন বদলে যায়।

ঋদ্ধিমা ঘোষ (পাখি)

অভিনেত্রী: সোহিনী সেনগুপ্ত

একজন সাহসী, স্বাধীনচেতা ও প্রাণবন্ত মেয়ে। জীবনে অনেক বাধা সত্ত্বেও তিনি সবসময় হাসিমুখে থাকেন। আরনবের সাথে তার সম্পর্ক তার জীবনকে এক নতুন মোড় দেয়।

অনিরুদ্ধ রায়

অভিনেতা: অভিষেক রায়

আরনবের ছোট ভাই যিনি পাখিকে ভালোবাসেন। সরল এবং সৎ স্বভাবের অধিকারী। ত্যাগ করতে জানেন এবং আরনব ও পাখির সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সন্দীপ্তা মুখার্জী

অভিনেত্রী: পূর্ণিমা বসু

আরনবের মা, যিনি পুত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো মেয়ে চান। প্রথমে পাখিকে পছন্দ না করলেও, পরে তার মনোভাব বদলায়। পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।

ধ্রুব চক্রবর্তী

অভিনেতা: অভিজিত গুহ

আরনবের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং পাখির প্রাক্তন প্রেমিক। আরনব ও পাখির সম্পর্কে অনেক জটিলতা সৃষ্টি করেন। কূটকৌশলে পরিপূর্ণ এবং স্বার্থপর চরিত্র।

অর্চনা ঘোষ

অভিনেত্রী: অনিন্দিতা দত্ত

পাখির মা, বিধবা এবং সংগ্রামী নারী। মেয়ের সুখই তার প্রধান লক্ষ্য। পরিবারের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন এবং পাখির জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস।

শুরুর দিকের গল্প

প্রথম পরিচয় (পর্ব ১-১৫)

সিরিয়ালটি শুরু হয় পাখির একটি মিউজিক কম্পিটিশনে যোগদানের মাধ্যমে, যেখানে তার গাওয়া গান ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ আরনবের মনে গভীর ছাপ ফেলে। আরনব একটি বড় কর্পোরেট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যিনি হঠাৎ করে পাখির জীবনে আসেন যখন পাখি তার কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করেন। প্রথম দেখায় আরনব পাখিকে পছন্দ করেন না এবং ভুল বোঝার কারণে অপমানজনক আচরণ করেন।

একসাথে কাজ (পর্ব ১৬-৩০)

পরে, একটি বিশেষ প্রজেক্টের জন্য আরনবের সাথে পাখিকে কাজ করতে হয়। ধীরে ধীরে আরনব পাখির সততা, পরিশ্রমী এবং আন্তরিক স্বভাবে মুগ্ধ হন। এদিকে, পাখিও আরনবের কঠোর আবরণের আড়ালে লুকানো কোমল হৃদয়কে আবিষ্কার করেন। অনিরুদ্ধ, আরনবের ছোট ভাই, প্রথম দেখাতেই পাখিকে পছন্দ করে ফেলেন এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হন। এই সময় ধ্রুব, পাখির প্রাক্তন প্রেমিক, পাখির জীবনে ফিরে আসেন এবং জটিলতা সৃষ্টি করেন।

প্রথম বোঝাপড়া (পর্ব ৩১-৫০)

একটি বিশেষ ইভেন্টে আরনব পাখিকে বাঁচান এবং এই ঘটনার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। আরনব ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন যে তিনি পাখির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন, কিন্তু তার গর্ব এবং অতীতের আঘাত তাকে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে বাধা দেয়। পাখিও আরনবের প্রতি অনুরাগ অনুভব করেন, কিন্তু অনিরুদ্ধ এবং ধ্রুবের উপস্থিতি এবং তাদের নিজেদের পরিবারের বিরোধিতা তাদের সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি করে।

মধ্যবর্তী পর্বগুলি

অতীতের রহস্য (পর্ব ৫১-১০০)

এই পর্বগুলিতে আরনবের অতীতের রহস্য উন্মোচিত হয়। তিনি একবার তার প্রাক্তন প্রেমিকা শ্রেয়া দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন, যার ফলে তিনি ভালোবাসা বা বিশ্বাস করতে ভয় পান। আরনব এবং পাখির সম্পর্ক গভীর হতে থাকে, কিন্তু ধ্রুব তাদের সম্পর্কে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে। একটি দুর্ঘটনায় পাখি আহত হন এবং আরনব তার যত্ন নেন, যা তাদের আরও কাছাকাছি আনে। তবে, একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে আরনব ভাবেন পাখি এখনও ধ্রুবকে ভালোবাসেন।

প্রেমের স্বীকারোক্তি (পর্ব ১০১-১৫০)

অবশেষে আরনব পাখিকে তার ভালোবাসা স্বীকার করেন এবং পাখিও তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। তবে, এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। সন্দীপ্তা, আরনবের মা, পাখিকে তাদের পরিবারের যোগ্য মনে করেন না এবং পাখিকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রেমে পড়া অনিরুদ্ধ, যখন জানতে পারেন পাখি আরনবকে ভালোবাসেন, তখন তিনি হতাশ হন কিন্তু তাদের সম্পর্ককে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন। একদিকে, ধ্রুব পাখির উপর প্রতিশোধ নিতে চায় এবং আরনবের ব্যবসার ক্ষতি করার চেষ্টা করে।

বিবাহ ও বিচ্ছেদ (পর্ব ১৫১-২০০)

অনেক বাধা অতিক্রম করে আরনব এবং পাখি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে, শ্রেয়ার প্রত্যাবর্তন এবং ধ্রুবের ষড়যন্ত্রের কারণে তাদের সুখ আবার বিঘ্নিত হয়। শ্রেয়া মিথ্যা দাবি করে যে তার সাথে আরনবের একটি সন্তান আছে, যা আরনব এবং পাখির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে। পাখি, যিনি এতক্ষণ সব বাধা অতিক্রম করেছিলেন, এবার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এবং আরনবকে ছেড়ে চলে যান।

পুনর্মিলনের পথে (পর্ব ২০১-২৫০)

আরনব সত্যের সন্ধানে নামেন এবং শ্রেয়ার মিথ্যা উন্মোচিত হয়। আরনব পাখিকে খুঁজতে থাকেন এবং অবশেষে তাকে খুঁজে পান। তবে, এবার পাখি সহজে বিশ্বাস করতে চান না। আরনব তার ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত থাকেন। এদিকে, পাখি একটি সংগীত স্কুল খোলেন এবং তার নিজের পরিচয় গড়ে তোলেন। ধ্রুবের চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায় এবং তিনি গ্রেপ্তার হন।

শেষ পর্যন্ত কাহিনীর পরিণতি

প্রেমের জয় (পর্ব ২৫১-৩০০)

আরনবের অটল ভালোবাসা এবং সমর্পণ অবশেষে পাখির হৃদয় জয় করে এবং তারা পুনরায় একত্রিত হন। সন্দীপ্তা, আরনবের মা, পাখির সাহস এবং আন্তরিকতা দেখে তাকে মেনে নেন এবং আশীর্বাদ করেন। অনিরুদ্ধ একজন নতুন মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নতুন জীবন শুরু করেন। পাখির সংগীত স্কুল সাফল্য পায় এবং আরনবের ব্যবসাও উন্নতি করে।

“প্রেমে বোঝা ও বোঝানোর একটা ভাষা আছে, সেই ভাষা সব বাধা অতিক্রম করে।”

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ অব্দি, বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখাও

সিরিয়ালের শেষ দৃশ্যে আরনব এবং পাখিকে দেখা যায় তাদের মেয়ে অনুপমার সাথে সুখে জীবন কাটাতে। অনুপমা তার মায়ের মতই গান গাইতে ভালোবাসে এবং বাবার মতো দৃঢ়চেতা। সিরিয়ালটি একটি ইতিবাচক নোটে শেষ হয়, দেখিয়ে যে সত্য প্রেম সব বাধা অতিক্রম করতে পারে।

সিরিয়ালের প্রধান শিক্ষা

  • ভালোবাসা: প্রকৃত প্রেম সমস্ত বাধা অতিক্রম করতে পারে।
  • বিশ্বাস: সম্পর্কে বিশ্বাস অপরিহার্য, ভুল বোঝাবুঝি কেবল দূরত্ব তৈরি করে।
  • সততা: সততা এবং আন্তরিকতা অবশেষে জয়ী হয়।
  • ক্ষমা: ক্ষমা করা এবং নতুন করে শুরু করার সাহস থাকা উচিত।
  • আত্মবিশ্বাস: নিজের উপর বিশ্বাস রাখা এবং নিজের পথ তৈরি করা।

জনপ্রিয়তার কারণ ও ইতিহাস

TRP রেকর্ড

“বোঝেনা সে বোঝেনা” স্টার জলসা চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি ছিল, যা প্রায়শই TRP চার্টে শীর্ষস্থান দখল করেছিল। পরবর্তী পর্বগুলির জন্য দর্শকদের অপেক্ষা করা ছিল একটি নিয়মিত ঘটনা। সিরিয়ালটি প্রচারের সময় সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক আলোচনার বিষয় ছিল।

অভিনেতাদের জনপ্রিয়তা

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ অব্দি, বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়াল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখাও

রেহান রায় এবং সোহিনী সেনগুপ্ত তাদের চরিত্রের জন্য ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। তারা বিভিন্ন পুরস্কার অনুষ্ঠানে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এবং বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আরনব এবং পাখির চরিত্রের জন্যই সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়।

গল্প ও চরিত্র

সিরিয়ালটির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল এর মনোগ্রাহী গল্প এবং বাস্তবসম্মত চরিত্র। আরনব এবং পাখির সম্পর্কের উত্থান-পতন, তাদের মাঝে প্রেম বিকাশের ধীর প্রক্রিয়া, এবং পারিবারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত দর্শকদের আকর্ষণ করেছিল। প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গভীরতা নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছিল, যা তাদের অনন্য করেছিল।

সংগীত ও প্রযোজনা

সিরিয়ালের থিম সং “বোঝেনা সে বোঝেনা” বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় থিম সংগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছিল। এছাড়াও, সিরিয়ালের উচ্চমানের প্রযোজনা, আকর্ষণীয় সেট ডিজাইন, এবং দৃশ্যায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। বিভিন্ন রোমাঞ্চকর মোড় এবং সাসপেন্স দর্শকদের আকৃষ্ট রাখতে সাহায্য করেছিল।

ঐতিহাসিক প্রভাব

“বোঝেনা সে বোঝেনা” বাংলা টেলিভিশন ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ধারাবাহিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এর জনপ্রিয়তা অন্যান্য ধারাবাহিকের জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছিল এবং বাংলা টেলিভিশনে রোমান্টিক ধারাবাহিক তৈরির ধারা পাল্টে দিয়েছিল। এর প্রভাব এখনও পর্যন্ত অনুভূত হয়, এবং অনেক নতুন ধারাবাহিক এর সাফল্যের ফর্মুলা অনুসরণ করার চেষ্টা করে। সিরিয়ালটি শেষ হলেও, এর গল্প এবং চরিত্রগুলি দর্শকদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।

সিরিয়ালের জনপ্রিয় গানসমূহ

“বোঝেনা সে বোঝেনা”

গায়ক: শ্রেয়া ঘোষাল

লিরিক্স:

“বোঝেনা সে বোঝেনা আমাকে
কেন যে পথে থাকি তার চোখে চোখে
এই ভালোবাসা, এই ভালোবাসা
কেন যে ফোটে আমার প্রতি নিঃশ্বাসে…”

“তোমাকে চাই”

গায়ক: অরিজিৎ সিং

লিরিক্স:

“তোমাকে চাই আমি প্রতিটি নিমেষে
তোমাকে ভাবি আমি প্রতিটি নিঃশ্বাসে
তুমি আমার, তুমি আমার
শুধু তুমি আমার…”

“নিভৃতে যতনে”

গায়ক: শান, অনন্যা

লিরিক্স:

“নিভৃতে যতনে রেখেছি যে ভালোবাসা
সেটা কি কখনো পাবে না তোমার ঠিকানা
বোঝোনা কেন, বোঝোনা কেন
আমার মনের ব্যথা…”

“হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা”

গায়ক: নাচিকেতা, সায়নী

লিরিক্স:

“হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা আবার খুঁজে পেলাম
তোমার চোখের জলে নিজের ছবি দেখলাম
ভুল বোঝাবুঝি, ভুল বোঝাবুঝি
আর নয়, আর নয়…”

সাধারণ জিজ্ঞাসা

বোঝেনা সে বোঝেনা মোট কত পর্ব প্রচারিত হয়েছিল?

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালটি ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রচারিত হয় এবং মোট ১৫০০+ পর্ব প্রচারিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এটি দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে এবং বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম দীর্ঘতম চলমান ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি ছিল।

সিরিয়ালের মূল চরিত্রে কারা অভিনয় করেছিলেন?

সিরিয়ালের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন:

  • রেহান রায় – আরনব মুখার্জী (নেহা) চরিত্রে
  • সোহিনী সেনগুপ্ত – ঋদ্ধিমা ঘোষ (পাখি) চরিত্রে
  • অভিষেক রায় – অনিরুদ্ধ রায় চরিত্রে
  • পূর্ণিমা বসু – সন্দীপ্তা মুখার্জী চরিত্রে
  • অভিজিত গুহ – ধ্রুব চক্রবর্তী চরিত্রে
  • অনিন্দিতা দত্ত – অর্চনা ঘোষ চরিত্রে

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালটি কোথায় দেখা যাবে?

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালটি এখন বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়:

  • Hotstar – স্টার জলসার সমস্ত পুরানো ধারাবাহিক এখানে উপলব্ধ
  • YouTube – কিছু পর্ব বা হাইলাইটস অফিসিয়াল চ্যানেলে পাওয়া যায়
  • ZEE5 – কিছু পর্ব বা অংশ এখানে উপলব্ধ থাকতে পারে

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালের থিম সং কে গেয়েছিলেন?

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালের বিখ্যাত থিম সং গেয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। এই গানটি সিরিয়ালের পরিচয় হয়ে উঠেছিল এবং এখনও বাংলা টেলিভিশন সিরিয়ালের অন্যতম জনপ্রিয় থিম সং হিসেবে পরিচিত।

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালের প্রযোজক ও পরিচালক কে ছিলেন?

বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিয়ালটি ছিল সিদ্ধার্থ সেন পরিচালিত এবং রাজ চক্রবর্তী প্রযোজিত। তাদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা সিরিয়ালটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছিল। সিরিয়ালটি স্টার জলসা চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছিল, যা ছিল সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল।

উপসংহার: একটি অবিস্মরণীয় যাত্রা

“বোঝেনা সে বোঝেনা” শুধু একটি টেলিভিশন সিরিয়ালই নয়, এটি বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এটি দর্শকদের হৃদয় জয় করেছে, আরনব এবং পাখির প্রেমের গল্প দিয়ে। সিরিয়ালটি প্রেম, পরিবার, বিশ্বাস, ত্যাগ, এবং আত্মবিশ্বাসের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছে, যা দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।

এই সিরিয়ালের চরিত্রগুলি, বিশেষ করে আরনব এবং পাখি, মানুষের হৃদয়ে এখনও জীবন্ত। তাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন, ভুল বোঝাবুঝি, এবং অবশেষে তাদের একত্রিত হওয়া, দর্শকদের আবেগের দোলাচলে ফেলেছিল। সিরিয়ালের থিম সং এখনও মানুষের মনে ছন্দ তোলে। “বোঝেনা সে বোঝেনা” বাংলা মনোরঞ্জন জগতে একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়, যা দর্শকদের স্মৃতিতে চিরকাল থাকবে।

Latest articles

Related articles