হিন্দি নায়িকাদের নামের তালিকা
বলিউডের অনন্য নক্ষত্র – যুগ যুগ ধরে হিন্দি সিনেমার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীদের সম্পূর্ণ গাইড
Table of Contents
Toggleসূচিপত্র
বলিউড নায়িকাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
হিন্দি সিনেমা বা বলিউড ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯১৩ সালে দাদাসাহেব ফালকের ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তির পর থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে নায়িকাদের ভূমিকা ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। প্রাথমিক যুগে নায়িকাদের ভূমিকা সীমিত ছিল। ধীরে ধীরে, বলিউড নায়িকারা সিনেমার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের চরিত্র অনেক বেশি বহুমাত্রিক ও গভীর হয়ে ওঠে।
হিন্দি চলচ্চিত্রের সূচনালগ্নে দেবিকা রানি, দুর্গা খোটে এবং কানন বালা প্রমুখ নায়িকারা বলিউড চলচ্চিত্রের ভিত্তি স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে মধুবালা, নরগিস, মীনা কুমারী, বিজয়ন্তীমালা প্রমুখ অভিনেত্রীরা ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে পরিচিত সময়কালে হিন্দি সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
জানেন কি? প্রথম ভারতীয় টকি ফিল্ম ‘আলম আরা’ (১৯৩১) এর নায়িকা ছিলেন জুবেইদা। তিনি ভারতীয় সিনেমায় প্রথম কথা বলা নায়িকা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। চলচ্চিত্রের প্রথম গান “দে দে খুদা কে নাম পর” গেয়েছিলেন নায়িকা ডব্লিউ.এম খান-এর কণ্ঠে।
১৯৩০-৪০ এর দশকে সারাহ বানু, শোভনা সমর্থ এবং দেবিকা রানি প্রমুখ নায়িকারা হিন্দি সিনেমাকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই সময় হিন্দি সিনেমায় সামাজিক বিষয়বস্তু, ঐতিহাসিক গল্প এবং রোমান্টিক কাহিনী প্রধান হয়ে ওঠে।
স্বর্ণযুগের হিন্দি নায়িকা (১৯৪০-১৯৬০)
১৯৪০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যবর্তী সময়কে বলিউডের স্বর্ণযুগ বলা হয়। এই সময়ে কিছু অবিস্মরণীয় নায়িকা হিন্দি সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। তাদের অনন্য অভিনয় প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ব সিনেমার ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে:
মধুবালা (১৯৩৩-১৯৬৯)
আসল নাম মুমতাজ জেহান বেগম, মধুবালা বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক নায়িকাদের একজন। তাঁর সৌন্দর্য, অভিনয় দক্ষতা এবং স্ক্রিন প্রেজেন্স তাঁকে ‘দ্য ভিনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’ উপাধি এনে দেয়।
নরগিস (১৯২৯-১৯৮১)
নরগিস ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। তিনি তার সামাজিক ও দেশপ্রেমমূলক চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
মীনা কুমারী (১৯৩২-১৯৭২)
ট্র্যাজেডি কুইন হিসেবে পরিচিত মীনা কুমারী তার গভীর, করুণ চরিত্রের অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি বলিউড অভিনয়ের মাপকাঠিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
বিজয়ন্তীমালা (১৯৩৪-)
দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী বিজয়ন্তীমালা তার অসাধারণ সৌন্দর্য ও নৃত্য দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। তিনি হিন্দি ও তামিল উভয় চলচ্চিত্রেই সমান পারদর্শিতা দেখান।
ওয়াহিদা রহমান (১৯৩৮-)
ওয়াহিদা রহমান তার স্বাভাবিক অভিনয় শৈলী ও সহজ-সরল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সময় ধরে অবদান রেখেছেন।
ক্লাসিক যুগের নায়িকা (১৯৭০-১৯৯০)
১৯৭০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে হিন্দি সিনেমায় অনেক পরিবর্তন আসে। এই সময়ে কিছু উল্লেখযোগ্য নায়িকা বলিউডে স্বাক্ষর রাখেন:
নাম | সময়কাল | উল্লেখযোগ্য সিনেমা | বিশেষ বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|---|
হেমা মালিনী | ১৯৬৮-বর্তমান | শোলে, সীতা ঔর গীতা | ড্রিম গার্ল, নৃত্যশিল্পী |
জীনত আমান | ১৯৭১-১৯৮৯ | দন, কুরবানী | বলিউডের সেক্স সিম্বল |
রেখা | ১৯৭০-বর্তমান | উমরাও জান, সিলসিলা | অভিনয় ক্ষমতা, রূপান্তর |
শ্রীদেবী | ১৯৭৬-২০১৮ | মিস্টার ইন্ডিয়া, চাঁদনী | প্রথম ফিমেল সুপারস্টার |
জয়া বচ্চন | ১৯৭১-১৯৮১ | অভিমান, মিলি | সমান্তরাল সিনেমার নায়িকা |
পরবীন বাবি | ১৯৭৩-১৯৮৩ | মাজবূর, দীওয়ার | অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য |
সমিতা পাটিল | ১৯৭৪-১৯৮৬ | আরোহণ, মির্চ মসালা | নিউ ইন্ডিয়ান সিনেমার প্রতিনিধি |
মাধুরী দীক্ষিত | ১৯৮৪-বর্তমান | তেজাব, হম আপকে হ্যায় কৌন | ধাক ধাক গার্ল, নৃত্যশিল্পী |
জুহি চাওলা | ১৯৮৮-বর্তমান | কয়ামত সে কয়ামত তক, দারর | বাবলি গার্ল, হাস্যরসাত্মক অভিনয় |
আধুনিক যুগের নায়িকা (১৯৯০-২০১০)
১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বলিউড গ্লোবাল পরিচিতি লাভ করে। এই সময়ে অভিনয় শিল্পে অনেক পরিবর্তন আসে এবং কিছু উল্লেখযোগ্য নায়িকা বৈশ্বিক পর্যায়ে বলিউডকে প্রতিনিধিত্ব করেন:
কাজল
স্ক্রিন উপস্থিতি ও আকর্ষণীয় চোখের জন্য বিখ্যাত। ৯০-এর দশকে সালমান-শাহরুখের সাথে অনেক ব্লকবাস্টার দিয়েছেন।
ঐশ্বরিয়া রাই
বিশ্ব সুন্দরী থেকে বলিউডের অন্যতম সফল নায়িকা। হলিউডেও কাজ করেছেন, বলিউডের আন্তর্জাতিক মুখ।
রানী মুখার্জী
বলিউডের ভার্সেটাইল কুইন। রোমান্টিক থেকে অ্যাকশন, সব ধরনের ভূমিকায় সাফল্য অর্জন করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
মিস ওয়ার্ল্ড থেকে বলিউড এবং হলিউডে সাফল্য। গ্লোবাল আইকন হিসেবে পরিচিত।
করিনা কাপুর
কাপুর খানদানের মেয়ে, স্টাইল আইকন। পূজা (কভি খুশি কভি গম) ও গিট (জব উই মেট) যেমন চরিত্রে অবিস্মরণীয়।
বিদ্যা বালান
বেপরোয়া অভিনয় ক্ষমতা ও নায়িকা-কেন্দ্রিক সিনেমার জন্য পরিচিত। নতুন যুগের বলিউডে নারীর ভূমিকা পরিবর্তনে অগ্রণী।
- কাত্রিনা কাইফ: রেস, জিন্দগি না মিলেগী দোবারা
- দীপিকা পাদুকোন: ওম শান্তি ওম, চেন্নাই এক্সপ্রেস
- প্রীতি জিন্টা: দিল সে, কল হো না হো
- বিপাশা বসু: রাজ, জিস্ম
- দিয়া মির্জা: রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে, লাগে রহো মুন্নাভাই
সমসাময়িক নায়িকা (২০১০-বর্তমান)
বর্তমান সময়ে হিন্দি সিনেমায় নায়িকাদের দাপট ও ভূমিকা আরও বেড়েছে। ভিন্ন ধরনের চরিত্র, নারী-কেন্দ্রিক সিনেমা, এবং সামাজিক বার্তা দেওয়া ছবিতে তারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন:
আলিয়া ভাট
অল্প বয়সে হিন্দি সিনেমায় প্রবেশ করে দ্রুত নিজের অভিনয় প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে সাফল্যের সাথে অভিনয় করেছেন।
কঙ্গনা রানাউত
বিতর্কিত কিন্তু প্রতিভাবান অভিনেত্রী, যিনি নারী-কেন্দ্রিক সিনেমার জন্য বিখ্যাত। পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
তাপসী পান্নু
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা থেকে বলিউডে আসা তাপসী বিশেষত সামাজিক বার্তা সম্বলিত সিনেমায় অভিনয় করেন।
আরও কিছু সমসাময়িক তারকা
সেরা পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা
হিন্দি সিনেমার গৌরবময় ইতিহাসে অনেক নায়িকা তাদের অসাধারণ অভিনয় প্রতিভার জন্য বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন। এখানে কিছু বিশেষ অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করা হলো যারা উল্লেখযোগ্য পুরস্কার পেয়েছেন:
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী
সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নায়িকা
কিছু হিন্দি নায়িকা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বলিউড ছাড়িয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। তাদের অভিনয় প্রতিভা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বীকৃতি পেয়েছে:
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
- হলিউড: কোয়ান্টিকো সিরিজ, বেওয়াচ, দ্য মেট্রিক্স রিসারেকশনস
- সম্মান: পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান)
- আন্তর্জাতিক প্রভাব: ইউনিসেফ গুডউইল অ্যাম্বাসেডর, টাইম ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তি
- অন্যান্য সাফল্য: পপ সঙ্গীত শিল্পী, আন্তর্জাতিক ব্যবসা উদ্যোগ
দীপিকা পাদুকোন
- হলিউড: এক্সএক্সএক্স: রিটার্ন অফ জ্যান্ডার কেজ
- সম্মান: কান ফিল্ম ফেস্টিভালের জুরি সদস্য (২০২২)
- আন্তর্জাতিক প্রভাব: টাইম ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা
- অন্যান্য সাফল্য: মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ফাউন্ডেশন লাইভ লাভ লাফ
ঐশ্বরিয়া রাই
- হলিউড: পিঙ্ক প্যান্থার ২, ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস
- সম্মান: পদ্মশ্রী, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান Ordre des Arts et des Lettres
- আন্তর্জাতিক প্রভাব: কান ফিল্ম ফেস্টিভালের জুরি সদস্য (২০০৩)
- অন্যান্য সাফল্য: মিস ওয়ার্ল্ড (১৯৯৪), জাতিসংঘের এইডস কার্যক্রম অ্যাম্বাসেডর
এছাড়াও অনুষ্কা শর্মা, সোনম কাপুর, হেমা মালিনী প্রমুখ অনেক নায়িকা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সাধারণ জিজ্ঞাসা
বলিউডের প্রথম নায়িকা কে ছিলেন?
বলিউডের প্রথম সশব্দ চলচ্চিত্র ‘আলম আরা’ (১৯৩১) তে প্রথম নায়িকা ছিলেন জুবেইদা। তিনি ভারতীয় সিনেমায় প্রথম কথা বলা নারী অভিনেত্রী। তবে নীরব চলচ্চিত্রের যুগে ১৯১৩ সালে ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ ছবিতে দেবিকা রানী ও অন্য কিছু নায়িকা অভিনয় করেছিলেন।
সর্বাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নায়িকা কে?
কঙ্গনা রানাউত সর্বাধিক ৪টি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন সেরা অভিনেত্রী হিসেবে। তিনি ‘ফ্যাশন’ (২০০৮), ‘কুইন’ (২০১৪), ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ (২০১৫) এবং ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসী’ (২০১৯) ছবিতে অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন।
বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকা কে?
বর্তমানে দীপিকা পাদুকোন বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকাদের একজন। তিনি প্রতি ছবিতে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। তবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাট, কঙ্গনা রানাউতও সমপর্যায়ের পারিশ্রমিক পান।
বলিউডে অভিনয় করা প্রথম বাংলাদেশি নায়িকা কে?
বাংলাদেশের নায়িকা রোজি সিদ্দিকী অভিনীত ‘মিস লাইলী’ (১৯৭৮) ছবিটি প্রথম ভারতীয় হিন্দি ছবি যেখানে একজন বাংলাদেশি নায়িকা প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। আরও সাম্প্রতিককালে জয়া আহসান, বাবু ইব্রাহিম, মিম বিন্তে রাশিদ প্রমুখ বাংলাদেশি অভিনেত্রীরা হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
বিদেশে জন্ম নেওয়া কোন হিন্দি নায়িকারা বলিউডে সফল হয়েছেন?
অনেক হিন্দি নায়িকা আছেন যারা ভারতের বাইরে জন্মগ্রহণ করেও বলিউডে সফল হয়েছেন। এদের মধ্যে কাট্রিনা কাইফ (হংকং), নরগিস ফাখরি (নিউ ইয়র্ক), জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ (শ্রীলঙ্কা), এমি জ্যাকসন (আইল অফ ম্যান) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
উপসংহার
বলিউডের নায়িকাদের বিবর্তন একটি আকর্ষণীয় যাত্রা। ১৯৩০-৪০ এর দশকে যেসব নায়িকা কেবল সিনেমায় সাহায্যকারী ভূমিকায় থাকতেন, আজ তারা সিনেমার প্রাণকেন্দ্র। মধুবালা, নরগিস, মীনা কুমারী, হেমা মালিনী থেকে শুরু করে আলিয়া ভাট, দীপিকা পাদুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া – প্রত্যেকেই তাদের অনন্য শৈলী ও প্রতিভা দিয়ে হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
বর্তমান সময়ে বলিউড নায়িকারা কেবল অভিনয়েই সীমাবদ্ধ নেই। তারা প্রযোজক, পরিচালক, ব্যবসায়ী এবং সামাজিক আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবেও সক্রিয়। সময়ের সাথে সাথে তাদের ভূমিকা আরও বহুমুখী হয়ে উঠবে এবং বলিউড নায়িকারা বিশ্ব সিনেমায় আরও শক্ত ভিত্তি তৈরি করবেন।
বলিউড নায়িকারা আমাদের অনুপ্রেরণা
সিনেমার পর্দায় অভিনয় করাই নয়, সমাজ ও নারী অধিকারের জন্য লড়াই করার ক্ষেত্রেও বলিউড নায়িকারা অনুপ্রেরণার উৎস। তাদের অবদান শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
হিন্দি সিনেমার ১০০ বছরের ইতিহাসে এসব নায়িকারা জীবনকে সত্যিকারের অর্থে উপস্থাপন করেছেন পর্দায়। তাদের সাফল্য, সংগ্রাম, প্রত্যাবর্তন – সব কিছুই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
এই আর্টিকেল শেয়ার করুন
এই আর্টিকেল কেমন লাগলো?
আপনার মতামত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।