back to top

হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি | বলিউডের সেরা ২৫ জন অভিনেত্রী

- Advertisement -

হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

বলিউডের সেরা ২৫ জন হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি- সম্পূর্ণ তথ্য ও পরিচিতি

বলিউড শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী চলচ্চিত্র শিল্প। এই শিল্পে অনেক প্রতিভাবান অভিনেত্রী তাদের অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা, সৌন্দর্য এবং প্রতিভা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক নায়িকা আছেন যারা শুধু তাদের অভিনয়ের মাধ্যমেই নয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের মাধ্যমেও বলিউড উদ্যোগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

এই বিস্তৃত নিবন্ধে, আমরা বলিউডের সেরা ২৫ অভিনেত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি অভিনেত্রী থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের তারকাদের পর্যন্ত, আমরা তাদের কর্মজীবন, উল্লেখযোগ্য অবদান এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরব। নিচে হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি দেওয়া হল।

এই নিবন্ধে আপনি যা যা জানতে পারবেন:

  • বলিউডের স্বর্ণযুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত ২৫ হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি এবং বিস্তারিত তথ্য ও ছবি
  • প্রত্যেক যুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী হিন্দি নায়িকাদের অবদান ও বিশেষত্ব
  • বলিউড অভিনেত্রীদের সাফল্যের গল্প, সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ
  • হিন্দি নায়িকাদের দ্বারা অর্জিত বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মান
  • ভারতীয় সিনেমায় নারীদের ভূমিকার ক্রমবিকাশ

সূচিপত্র

ভূমিকা: বলিউড নায়িকাদের অবদান

 

হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

বলিউড শব্দটি “বোম্বে” (মুম্বাই-এর পুরাতন নাম) এবং “হলিউড” শব্দের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে। প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্প ভারতীয় সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিফলন হিসেবে কাজ করেছে। এবং এই পথচলায়, অভিনেত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা খুব বিস্তারিতভাবে হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি আলোচনা করেছি।

প্রাথমিক যুগে, নায়িকাদের ভূমিকা ছিল সীমিত এবং রূঢ়িবদ্ধ। তবে সময়ের সাথে সাথে, তারা আরও বিবিধ, জটিল এবং বাস্তবসম্মত চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। আধুনিক বলিউডে, অভিনেত্রীরা প্রায়শই নেতৃত্বস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করেন, ফেমিনিজম ও নারী ক্ষমতায়নের বার্তা ছড়িয়ে দেন, এবং সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখেন।

জানেন কি? ১৯১৩ সালে “রাজা হরিশচন্দ্র” ছবির মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু ১৯৩০-এর দশকের আগে পর্যন্ত মহিলাদের ভূমিকায় প্রায়শই পুরুষ অভিনেতারাই অভিনয় করতেন। সেই সময়ে নারী চরিত্রে অভিনয় করা সমাজে অসম্মানজনক মনে করা হত।

আমাদের এই আলোচনায়, আমরা বিভিন্ন যুগের হিন্দি নায়িকাদের দেখব, যারা তাদের অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব, এবং অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

বলিউডের স্বর্ণযুগের অভিনেত্রীরা (১৯৪০-১৯৬০)

১৯৪০ থেকে ১৯৬০-এর দশক ছিল বলিউডের স্বর্ণযুগ। এই সময়ে অনেক মহান অভিনেত্রী আবির্ভূত হন, যাদের অভিনয় আজও ভারতীয় চলচ্চিত্রের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

নূরজাহান,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

০১. নূরজাহান

জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “অনমোল ঘড়ি”, “বড়ি বেহেন”, “দুলারি”

বিশেষত্ব: অসাধারণ সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত। তাকে “বেবি নূরজাহান” নামেও ডাকা হত। তিনি পাকিস্তান সিনেমাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

নূরজাহান শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন বিখ্যাত গায়িকাও ছিলেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানেও তার ক্যারিয়ার অব্যাহত রাখেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিবেচিত হন এবং “মালিকা-এ-তারান্নুম” (সঙ্গীতের রানী) উপাধি পান। তার গাওয়া গানগুলি আজও সমান জনপ্রিয়।

৬ টি সর্বকালের রোমান্টিক মুভির তালিকা

মধুবালা, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

০২. মধুবালা

জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৩

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “মুঘল-এ-আজম”, “মহল”, “চলতি কা নাম গাড়ি”

বিশেষত্ব: “দ্য বিউটি উইথ ট্র্যাজিক এন্ড” নামে পরিচিত, তার অসাধারণ সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতা তাকে বলিউডের অন্যতম আইকন বানিয়েছিল। ৩৬ বছর বয়সে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়।

মধুবালা ১৯৪০ এবং ১৯৫০-এর দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম আইকনিক তারকা ছিলেন। “মুঘল-এ-আজম” ছবিতে আনারকলির ভূমিকায় তার অভিনয় এখনও বলিউডের সেরা পারফরম্যান্সগুলির মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়। তার প্রবল অভিব্যক্তিশীল চোখ এবং ম্যাগনেটিক স্ক্রিন প্রেজেন্স তাকে “ভিনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা” উপাধি দিয়েছিল।

রোমান্টিক মুভি লিস্ট

নর্গিস, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

০৩. নর্গিস

জন্ম: ১ জুন, ১৯২৯

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “মাদার ইন্ডিয়া”, “আওয়ারা”, “শ্রী ৪২০”

বিশেষত্ব: ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেত্রীদের একজন। “মাদার ইন্ডিয়া”-তে তার অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে কান্স ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরস্কার জিতেন।

নর্গিস ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক মুখ। তিনি রাজ কাপুরের সাথে অনেক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল “মাদার ইন্ডিয়া”-তে, যেখানে তিনি এমন এক মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন যিনি ন্যায়বিচারের জন্য তার নিজের পুত্রকে হত্যা করতে বাধ্য হন। এই ছবি ১৯৫৮ সালে বিদেশি ভাষার সেরা ছবির জন্য অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল। নর্গিস পরবর্তীতে সমাজসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং পার্লামেন্টের সদস্য হন।

হিন্দি সেরা রোমান্টিক মুভি

মীনা কুমারী, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

০৪. মীনা কুমারী

জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৩৩

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “পাকিজা”, “সাহিব বিবি আওর গুলাম”, “বিজু বাওরা”

বিশেষত্ব: “ট্র্যাজেডি কুইন” নামে পরিচিত, তার মর্মস্পর্শী অভিনয় আজও দর্শকদের আবেগে আপ্লুত করে। তার জীবন ছিল ব্যক্তিগত দুঃখ ও বেদনায় ভরা।

মীনা কুমারী বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি তার আবেগপূর্ণ অভিনয়ের জন্য “ট্র্যাজেডি কুইন” হিসেবে পরিচিত। “পাকিজা” ও “সাহিব বিবি আওর গুলাম” তার সেরা পারফরম্যান্সগুলির মধ্যে। ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক দুঃখ-কষ্ট ছিল তার, যা হয়তো তার অভিনয়কে আরও গভীরতা দিয়েছিল। তিনি অসাধারণ সাহিত্যিক প্রতিভারও অধিকারী ছিলেন এবং উর্দু কবিতা লিখতেন।

রোমান্টিক বাংলা গানের লিরিক্স

ওয়হিদা রহমান, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

০৫. ওয়হিদা রহমান

জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “প্যায়াসা”, “কাগজ কে ফুল”, “গাইড”

বিশেষত্ব: বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী, যিনি সাহসী ও জটিল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয় করেছেন।

ওয়হিদা রহমান বলিউডের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু কেরিয়ারের অধিকারী অভিনেত্রীদের একজন। ১৯৫০-এর দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। “প্যায়াসা” এবং “গাইড”-এ তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত। তিনি একসময় গুরু দত্তের সাথে নিবিড় সম্পর্কে ছিলেন, যা সেই সময়ের জন্য বেশ বিতর্কিত ছিল। ওয়হিদা রহমান ২০০৭ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।

বসন্ত এসে গেছে মুভি রিভিউ

বেবী নাজ, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

০৬. বেবী নাজ

জন্ম: ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “ধুল কা ফুল”, “বাদল”, “আগ কা দরিয়া”

বিশেষত্ব: একটি মিষ্টি ও স্বচ্ছন্দ স্ক্রিন উপস্থিতির জন্য পরিচিত, তিনি তার সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ও সম্মানিত অভিনেত্রী ছিলেন।

বেবী নাজের অভিনয় যাত্রা শুরু হয় ১৯৪০-এর দশকে এবং ১৯৫০-৬০-এর দশকে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং অনেক নামী অভিনেতার সাথে কাজ করেছেন। তার প্রাকৃতিক অভিনয় শৈলী ও মিষ্টি চেহারা তাকে দর্শকদের কাছে প্রিয় করে তুলেছিল। কিছু ঐতিহাসিকদের মতে, তিনি বলিউডের প্রথম বড় মহিলা সুপারস্টারদের একজন ছিলেন।

প্রিয়তমা মুভি: শাকিব খানের রোমান্টিক মাস্টারপিস

দেবিকা রানী

০৭. দেবিকা রানী

জন্ম: ৩০ মার্চ, ১৯০৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “অছুত কন্যা”, “জিবন নাইয়া”, “বস্তি”

বিশেষত্ব: ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেত্রী, তিনি বিখ্যাত ফিল্ম মেকার হিমাংশু রায়ের স্ত্রী ছিলেন। তাকে প্রথম ভারতীয় “মুভি কুইন” বলা হত।

দেবিকা রানী ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম মহিলা সুপারস্টারদের একজন। তিনি যখন ২৩ বছর বয়সে “কর্মা” ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, তখন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে প্রথম অন-স্ক্রিন চুম্বন দৃশ্যের জন্য খুব আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি ১৯৩০ ও ৪০-এর দশকে ভারতীয় মহিলাদের সাহস ও আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক ছিলেন। তিনি বোম্বে টকিজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিমাংশু রায়কে বিয়ে করেন, এবং একসাথে তারা ভারতীয় চলচ্চিত্রের সামাজিক-রাজনৈতিক দিকগুলি তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

দেখা হলো বছর চারেক পর লিরিক্স

নাদিরা

০৮. নাদিরা

জন্ম: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৩২

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “আন”, “শ্রী ৪২০”, “দিল অপনা আওর প্রীত পরাই”

বিশেষত্ব: স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বলিউডের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী। তিনি বিখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুরের অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন।

নাদিরা (জন্মনাম ফ্লোরেন্স নাদিরা) নিজেকে জুডি নাম দিয়ে শুরু করেন। তিনি ১৯৫০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম সেরা সহ-অভিনেত্রী ছিলেন। তার সাথে রাজ কাপুরের জুটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিল এবং তাদের “শ্রী ৪২০” ছবি ব্যাপক সাফল্য পায়। যদিও তার কেরিয়ার খুব দীর্ঘ ছিল না, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

ইমরান হাশমী সিনেমা: বলিউডের কিস কিং

গীতা বালি

০৯. গীতা বালি

জন্ম: ২১ নভেম্বর, ১৯৩০

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “আলবেলা”, “বাজি”, “বাওয়রে নৈন”

বিশেষত্ব: ১৯৫০-৬০ দশকে বলিউডে প্রধান নায়িকা হিসেবে পরিচিত, তিনি তার উজ্জ্বল চোখ ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন।

গীতা বালি বলিউডের স্বর্ণযুগের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। গুরু দত্তের “আলবেলা” ছবিতে তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি অ্যাকশন ছবি থেকে শুরু করে রোমান্টিক ড্রামা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনেতা শমশাদ বেগম তার স্ত্রী ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি একজন দক্ষ গায়িকাও ছিলেন এবং কিছু কিছু ছবিতে নিজের গান গেয়েছেন।

হিন্দি নায়কের নাম সহ ছবি

নিরুপা রায়

১০. নিরুপা রায়

জন্ম: ৪ জানুয়ারি, ১৯৩১

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “দো বিঘা জমিন”, “মুন্না”, “কাবুলিওয়ালা”

বিশেষত্ব: সমাজসচেতন ছবিতে অভিনয়ের জন্য পরিচিত, তিনি শিশুচরিত্র ও মাতৃমূর্তি হিসেবে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলেন।

নিরুপা রায় ১৯৪০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত অভিনয় করেছেন। তিনি সমাজসচেতন ও পারিবারিক চলচ্চিত্রে বিশেষ সফল ছিলেন। বিজয় ভট্টের “দো বিঘা জমিন” ছবিতে তার অভিনয় বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি প্রধানত বালিশ্ঠ ও সহানুভূতিশীল নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন, যারা পারিবারিক মূল্যবোধকে ধারণ করতেন। তার দীর্ঘ কেরিয়ারে, তিনি বলিউডের বিভিন্ন প্রজন্মের অভিনেতাদের সাথে কাজ করেছেন।

জি বাংলা সিরিয়াল লিস্ট

ক্লাসিক যুগের অভিনেত্রীরা (১৯৭০-১৯৯০)

১৯৭০ থেকে ১৯৯০-এর দশক ছিল বলিউডের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সময়কাল। এই যুগে অনেক অভিনেত্রী দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছেন তাদের অভিনয় দক্ষতা ও বহুমুখী প্রতিভার জন্য।

হেমা মালিনী

১১. হেমা মালিনী

জন্ম: ১৬ অক্টোবর, ১৯৪৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “শোলে”, “সীতা আওর গীতা”, “ড্রিম গার্ল”

বিশেষত্ব: “ড্রিম গার্ল” নামে পরিচিত, তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। তিনি একজন প্রশিক্ষিত ভারতনাট্যম নর্তকীও বটেন।

হেমা মালিনী ১৯৭০-এর দশকে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তার সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার কারণে তাকে “ড্রিম গার্ল” উপাধি দেওয়া হয়েছিল। “সীতা আওর গীতা” ছবিতে দুই যমজ বোনের ডাবল রোলে তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত। “শোলে” ছবিতে “বাসন্তি” চরিত্রে তার অভিনয় আজও একটি আইকনিক পারফরম্যান্স। তিনি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।

বাংলাদেশের নায়ক নায়িকাদের নামের তালিকা

রেখা

১২. রেখা

জন্ম: ১০ অক্টোবর, ১৯৫৪

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “উমরাও জান”, “সিলসিলা”, “খুবসুরত”

বিশেষত্ব: বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান ও টিকে থাকা অভিনেত্রীদের একজন, যিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় আছেন। তার রূপান্তর ও অভিনয় দক্ষতা অতুলনীয়।

রেখা বলিউডের অন্যতম বহুমুখী অভিনেত্রী। তিনি অসাধারণ রূপান্তর করতে পারেন, সেটি বামনভাঙা গ্রাম্য মেয়ে থেকে শুরু করে সুরুচিসম্পন্ন অভিজাত নারী পর্যন্ত। “উমরাও জান” ছবিতে তারবাইফ (কুর্তিসান) হিসেবে তার অভিনয় এখনও বলিউডের সেরা পারফরম্যান্সগুলির একটি। এই চরিত্রে তিনি একাধারে কবি, নর্তকী ও গায়িকার ভূমিকা পালন করেন, যার জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পান। তিনি ৬০+ বছর বয়সেও তার সৌন্দর্য ও শক্তি বজায় রেখেছেন।

18+ ওয়েব সিরিজ: ভারতীয় এবং বাংলা ওয়েব সিরিজের বেস্ট লিস্ট

শ্রীদেবী

১৩. শ্রীদেবী

জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৬৩

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “চাঁদনি”, “মিস্টার ইন্ডিয়া”, “লমহে”

বিশেষত্ব: “ইন্ডিয়াস ফার্স্ট ফিমেল সুপারস্টার” নামে পরিচিত, তিনি দক্ষিণ ভারতীয় ও হিন্দি চলচ্চিত্রে সমানভাবে সফল ছিলেন। তিনি কমেডি, রোমান্স, এবং ড্রামা সব ধরনের চরিত্রেই দক্ষতার সাথে অভিনয় করেছেন।

শ্রীদেবী ভারতীয় সিনেমার প্রথম মহিলা সুপারস্টার হিসেবে পরিচিত। তিনি তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম ও হিন্দি সিনেমায় সমানভাবে সফল ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন, কমেডি থেকে ট্র্যাজেডি পর্যন্ত সবকিছুতেই তিনি পারদর্শী ছিলেন। “মিস্টার ইন্ডিয়া” ছবিতে “হাওয়া হাওয়া” গানে তার নৃত্য এখনো বলিউডের অন্যতম আইকনিক নৃত্য সিকোয়েন্স। তার “চাঁদনি” ছবি ১৯৮০-এর দশকের অন্যতম হিট ছবি ছিল। ২০১৮ সালে দুবাইতে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান

মাধুরী দীক্ষিত

১৪. মাধুরী দীক্ষিত

জন্ম: ১৫ মে, ১৯৬৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “হম আপকে হ্যায় কৌন”, “দেবদাস”, “দিল তো পাগল হ্যায়”

বিশেষত্ব: অসাধারণ নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। তার হাসি ও অভিব্যক্তিশীল অভিনয় তাকে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে স্থান করে দিয়েছে।

মাধুরী দীক্ষিত ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে ও ১৯৯০-এর দশকে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তার স্বাভাবিক অভিনয় এবং অনবদ্য নৃত্য দক্ষতা তাকে “ধক ধক গার্ল” উপাধি এনে দেয়। “দিল তো পাগল হ্যায়” ছবির “এক দো তিন” গানে তার নাচ এখনও বলিউড ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক নৃত্য। যুবরাজ রানে নামক একজন কার্ডিওলজিস্টকে বিয়ে করার পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, তবে ২০০৭ সালে আবার সিনেমায় ফিরে আসেন।

শাহরুখ খানের হিন্দি মুভি

জুহি চাওলা

১৫. জুহি চাওলা

জন্ম: ১৩ নভেম্বর, ১৯৬৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “কয়ামত সে কয়ামত তক”, “দরর”, “ইশক”

বিশেষত্ব: মিস ইন্ডিয়া ১৯৮৪, তিনি তার শিশুসুলভ উজ্জ্বলতা ও স্বাভাবিক অভিনয় দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। তিনি শাহরুখ খানের সাথে অনেক হিট ছবিতে কাজ করেছেন।

জুহি চাওলা তার বুদ্ধিদীপ্ত হাসি ও আনন্দময় অভিনয় শৈলীর জন্য পরিচিত। তিনি বিশেষ করে শাহরুখ খানের সাথে “দরর”, “রাজু বান গয়া জেন্টলম্যান”, “ইয়েস বস” যেমন ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। তার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি, তিনি শাহরুখ খান ও জয় মেহতার সাথে কোল্হাপুর নাইট রাইডার্স আইপিএল দলের মালিক। তার অভিনয়ে সবসময় একটি প্রাণবন্ত ও স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে।

রণবীর কাপুর এর সিনেমা

ডিম্পল কাপাড়িয়া

১৬. ডিম্পল কাপাড়িয়া

জন্ম: ৮ জুন, ১৯৫৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “বব্বি”, “সাগর”, “রুদালি”

বিশেষত্ব: মাত্র ১৬ বছর বয়সে “বব্বি” ছবি দিয়ে অভিনয় যাত্রা শুরু করেন, যা সুপারহিট হয়। অভিনেতা রাজেশ খান্নাকে বিয়ে করে তিনি অল্প সময়ের জন্য ব্রেক নেন, কিন্তু পরে আরও শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে ফিরে আসেন।

ডিম্পল কাপাড়িয়া ১৯৭০-এর দশকে একটি সেন্সেশন ছিলেন, যখন তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে “বব্বি” ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবির ঐতিহাসিক সাফল্য তাকে রাতারাতি একজন স্টার বানিয়ে দেয়। অভিনেতা রাজেশ খান্নাকে বিয়ে করে তিনি অল্প সময়ের জন্য ব্রেক নেন, কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পর ১৯৮০-এর দশকে “সাগর”, “রাম লখন” যেমন ছবিতে অভিনয় করে আবার ফিরে আসেন। ১৯৯০-এর দশকে “রুদালি”, “দিল চাহতা হ্যায়” যেমন ছবিতে তার পরিপক্ব অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি তার মেয়ে টুইঙ্কল খান্নার ছবিতেও মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের তালিকা

জিনত আমান

১৭. জিনত আমান

জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৯৫১

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “দন”, “কুরবানি”, “সত্যম শিবম সুন্দরম”

বিশেষত্ব: বলিউডের ফ্যাশন আইকন হিসেবে পরিচিত, তিনি ঐতিহ্যগত নায়িকার রূঢ়িবদ্ধ চরিত্র ভেঙে নতুন ধারা নিয়ে এসেছিলেন।

জিনত আমান ১৯৭০-এর দশকে বলিউডের একজন বিপ্লবী অভিনেত্রী ছিলেন। “দন” ছবির “যে হাই” গানে তার স্টাইলিশ অবতারন দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছিলেন। এর আগে পর্যন্ত হিন্দি ছবিতে নায়িকাদের সাধারণত ঐতিহ্যগত ও শান্ত স্বভাবের দেখানো হত, কিন্তু জিনত পশ্চিমা ফ্যাশন ও বোল্ড ব্যক্তিত্ব দিয়ে সেই ধারণা বদলে দেন। “গ্লামার কুইন” হিসেবে পরিচিত, তিনি সময়ের সাথে অভিনেত্রীদের লুক ও স্টাইল কেমন হওয়া উচিত তা পরিবর্তন করেন।

বাংলা নাটকের অভিনেত্রীদের নাম ও ছবি

পরবীন বাবি

১৮. পরবীন বাবি

জন্ম: ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “ধর্মাত্মা”, “মাজবুর”, “দিওয়ার”

বিশেষত্ব: ১৯৭০-এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী, তিনি তার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, অপূর্ব অভিনয় দক্ষতা এবং নৃত্য কৌশলের জন্য পরিচিত ছিলেন।

পরবীন বাবি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার জন্য ১৯৭০-এর দশকে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, রাজেশ খান্না, শশী কাপুর যেমন শীর্ষ অভিনেতাদের সাথে তিনি অনেক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি শুধু সুন্দর চেহারার জন্যই নয়, অভিনয় দক্ষতা ও মেধার জন্যও প্রশংসিত ছিলেন। দুঃখজনকভাবে, তিনি মাত্র ৫৫ বছর বয়সে ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গান

শবানা আজমি

১৯. শবানা আজমি

জন্ম: ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “অঙ্কুর”, “অর্ধ সত্য”, “গদ্দার”

বিশেষত্ব: পাঁচ বার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন, তিনি সমান্তরাল সিনেমার অন্যতম প্রধান মুখ এবং সমাজসচেতন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত।

শবানা আজমি ভারতীয় প্যারালাল সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিনেত্রী। শাস্ত্রীয় অভিনয় শৈলী ও গভীর ক্যারেক্টারাইজেশন তার অভিনয়ের বৈশিষ্ট্য। “অঙ্কুর”, “অর্ধ সত্য”, “মান্দি” যেমন ছবিতে তিনি সামাজিক বৈষম্য, মহিলাদের অধিকার, গ্রামীণ দারিদ্র্য যেমন বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও বটেন, যিনি আদিবাসীদের অধিকার, নারীবাদী ইস্যু, এবং এইডস সচেতনতার জন্য কাজ করেন। তার অভিনয় দক্ষতা ও সামাজিক কাজের জন্য তিনি পদ্মশ্রী (১৯৮৮) ও পদ্মভূষণ (২০১২) সম্মানে ভূষিত হন।

জেমস এর সেরা ১০ গান লিরিক্স

স্মিতা পাটিল

২০. স্মিতা পাটিল

জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৯৫৫

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “মান্থন”, “ভূমিকা”, “মির্চ মসালা”

বিশেষত্ব: ভারতীয় নব্য চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ, তার বাস্তবধর্মী অভিনয় ভারতীয় চলচ্চিত্রকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

স্মিতা পাটিল ভারতীয় প্যারালাল সিনেমার অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী ছিলেন। তার স্বাভাবিক ও আবেগপূর্ণ অভিনয় শৈলী, সাহসী চরিত্র বেছে নেওয়া, এবং সামাজিক প্রাসঙ্গিক ছবিতে অংশগ্রহণ তাকে সাধারণ গ্ল্যামার নায়িকাদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। “ভূমিকা” ছবিতে মহারাষ্ট্রীয় লোক গায়িকা হংসা ওয়াডকারের জীবনী অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন। দুঃখজনকভাবে, মাত্র ৩১ বছর বয়সে তার সন্তান প্রসবের সময় নিউরোজেনিক শক থেকে ১৯৮৬ সালে মৃত্যু হয়।

আমাদের ছোট নদী কবিতা

আধুনিক যুগের অভিনেত্রীরা (১৯৯০-২০১০)

১৯৯০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বলিউড আরও বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠে। এই সময়ে অভিনেত্রীরা শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করেন।

কাজল

২১. কাজল

জন্ম: ৫ জুন, ১৯৭৫

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “কুছ কুছ হোতা হ্যায়”, “কভি খুশি কভি গম”, “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে”

বিশেষত্ব: ৯০-এর দশকের বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের একজন। তার সাথে শাহরুখ খানের জুটি সবচেয়ে সফল জুটিগুলির একটি।

কাজল ১৯৯০-এর দশকে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তার আবেগপূর্ণ চোখ ও স্বাভাবিক অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি দর্শকদের মন জয় করেন। শাহরুখ খানের সাথে তার জুটি বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক জুটিগুলির একটি। “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” ছবিতে সিমরন চরিত্রে তার অভিনয় এবং “কুছ কুছ হোতা হ্যায়” ছবিতে অঞ্জলি চরিত্র এখনও বলিউডের সবচেয়ে প্রিয় নারী চরিত্রগুলির মধ্যে। তিনি অজয় দেবগনকে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে নাটক, ছবি ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে চলেছেন।

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে লিরিক্স

রানি মুখার্জী

২২. রানি মুখার্জী

জন্ম: ২১ মার্চ, ১৯৭৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “কুছ কুছ হোতা হ্যায়”, “ব্ল্যাক”, “মর্দানি”

বিশেষত্ব: বলিউডের সবচেয়ে সম্মানজনক অভিনেত্রীদের একজন, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন। অভিনয়ের প্রতি তার নিবেদন ও দক্ষতা তাকে বিশেষ স্থান করে দিয়েছে।

রানি মুখার্জী ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ক্ষমতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। সঞ্জয় লীলা বনশালির “ব্ল্যাক” ছবিতে একজন বধির-অন্ধ মেয়ের মেন্টর হিসেবে তার অভিনয় এবং “মর্দানি” সিরিজে একজন শক্তিশালী পুলিশ অফিসার হিসেবে তার পারফরম্যান্স বিশেষভাবে প্রশংসিত। তিনি আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করে যশরাজ ফিল্মস পরিবারের সদস্য হন এবং ফিল্ম মেকিং প্রসেসের সাথেও যুক্ত থাকেন।

বনলতা সেন কবিতা লিরিক্স‌

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

২৩. প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯৮২

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “ফ্যাশন”, “বর্ফি”, “মেরি কম”

বিশেষত্ব: মিস ওয়ার্ল্ড ২০০০, তিনি বলিউড থেকে হলিউডে সফলভাবে যাত্রা করেছেন। অভিনয়, গান এবং প্রযোজনার মাধ্যমে তিনি একজন বিশ্বব্যাপী সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একজন বহুমুখী অভিনেত্রী, যিনি বলিউড থেকে হলিউডে সফলভাবে যাত্রা করেছেন। মিস ওয়ার্ল্ড ২০০০ হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করে, তিনি দ্রুত বলিউডের সবচেয়ে সফল অভিনেত্রীদের একজন হয়ে ওঠেন। “ফ্যাশন” ছবিতে একজন ফ্যাশন মডেলের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। পরবর্তীতে তিনি মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ “কোয়ান্টিকো”-তে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক সাফল্য পান। তার “প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ফাউন্ডেশন” বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অবদান রাখে। তিনি বর্তমানে নিক জোনাসের স্ত্রী এবং একজন আন্তর্জাতিক আইকন।

এম এক্স প্লেয়ার ওয়েব সিরিজ | MX Player Web Series

কারিনা কাপুর খান

২৪. কারিনা কাপুর খান

জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “জব উই মেট”, “থ্রী ইডিয়টস”, “চমেলি”

বিশেষত্ব: প্রখ্যাত কাপুর পরিবারের সদস্য, কারিনা ব্যবসায়িক এবং সমালোচকদের প্রশংসিত চলচ্চিত্রের সংমিশ্রণে অভিনয় করেছেন। তার ‘পু’ চরিত্র আজও বিখ্যাত।

কারিনা কাপুর খান বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেত্রী, যিনি বিখ্যাত কাপুর পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য। তিনি কমার্শিয়াল ব্লকবাস্টার থেকে শুরু করে সমালোচক-প্রশংসিত চরিত্র পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। “কভি খুশি কভি গম” ছবিতে “পু” চরিত্রে তার অভিনয় বলিউড পপ কালচারের একটি আইকনিক চরিত্র হয়ে উঠেছে। “চমেলি” ছবিতে একজন সেক্স ওয়ার্কারের চরিত্রে এবং “জব উই মেট” ছবিতে একজন প্রাণবন্ত মেয়ের ভূমিকায় তার অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দেয়। ২০১২ সালে তিনি অভিনেতা সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন, এবং সাইফিনা (সাইফ + করিনা) জুটি ভারতীয় মিডিয়ার অন্যতম আলোচিত দম্পতি।

ইন্ডিয়ান ওয়েব সিরিজ | কোথায় ও কীভাবে দেখবেন | সেরা হট ওয়েব সিরিজ

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

২৫. ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯৭৩

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “হম দিল দে চুকে সনম”, “দেবদাস”, “গুরু”

বিশেষত্ব: মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৯৪, ঐশ্বরিয়া বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তিনি আন্তর্জাতিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন ও কান্স ফিল্ম ফেস্টিভাল জুরির সদস্য ছিলেন।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৯৪, বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সৌন্দর্য ও অভিনয় শিল্পের একজন প্রতিনিধি। তার অন্যতম উল্লেখযোগ্য অভিনয় সঞ্জয় লীলা বনশালির “হম দিল দে চুকে সনম” ও “দেবদাস” ছবিতে, যেখানে তিনি যথাক্রমে নন্দিনি ও পারু চরিত্রে অভিনয় করেন। মনি রত্নমের “গুরু” ছবিতেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি কান্স ফিল্ম ফেস্টিভালে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন এবং ২০০৩ সালে জুরি সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক প্রজেক্টেও তিনি কাজ করেছেন, যেমন “ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস”, “পিঙ্ক প্যান্থার ২”, “মিস্ট্রেস অফ স্পাইস”। ২০০৭ সালে তিনি অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন এবং বিখ্যাত বচ্চন পরিবারের সদস্য হন।

সেরা হট ওয়েব সিরিজ | Hot Web Series

‘Ullu’ hot web series – আপনার সেরা Ullu ওয়েব সিরিজ লিস্ট

বিদ্যা বালান

২৬. বিদ্যা বালান

জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৯

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “দি ডার্টি পিকচার”, “কাহানি”, “শকুন্তলা দেবী”

বিশেষত্ব: নায়িকা-কেন্দ্রিক ছবির জন্য বিখ্যাত, বিদ্যা সাহসী চরিত্র বেছে নেন এবং তার অভিনয় দক্ষতার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছেন। পরম্পরাগত সৌন্দর্যের ধারণা ভেঙে নতুন ধারা তৈরি করেছেন।

বিদ্যা বালান ২০০০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম বিপ্লবী অভিনেত্রী। তিনি শুধু নায়িকা-কেন্দ্রিক ছবি নির্বাচন করেই নয়, বলিউডে একটি নতুন ধারার সূচনা করেছেন। “পরিনিতা”, “ভুল ভুলাইয়া” চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দিয়ে সফলতা পেলেও, “দি ডার্টি পিকচার”-এ অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার জিতেন। এতে তিনি ১৯৮০-এর দশকের বিতর্কিত দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সিল্ক স্মিথার ভূমিকায় অভিনয় করেন। “কাহানি”, “তুমহারি সুলু”, “শকুন্তলা দেবী” যেসব ছবিতে তিনি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন, সেগুলি ব্যবসায়িক ও সমালোচকদের প্রশংসা উভয়ই অর্জন করে। তিনি পরম্পরাগত “সাইজ জিরো” সৌন্দর্যের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, বলিউডে বডি পজিটিভিটির একজন অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

ওয়েব সিরিজ মুভি

দীপিকা পাড়ুকোন

২৭. দীপিকা পাড়ুকোন

জন্ম: ৫ জানুয়ারি, ১৯৮৬

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “ওম শান্তি ওম”, “পিকু”, “পদ্মাবত”

বিশেষত্ব: একজন প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও মডেল, দীপিকা বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রীদের একজন হয়ে উঠেছেন। হলিউডে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক সফলতাও পেয়েছেন।

দীপিকা পাড়ুকোন বলিউডের সবচেয়ে সফল অভিনেত্রীদের একজন। ফেরা খানের “ওম শান্তি ওম” ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে ডেবিউ করে তিনি রাতারাতি স্টার হয়ে যান। বর্তমানে, তিনি বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। “চেন্নাই এক্সপ্রেস”, “পিকু”, “পদ্মাবত”, “যে জয়া হে” যেমন বিভিন্ন জনপ্রিয় ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস সহ অনেক পুরস্কার জিতেছেন। ২০১৭ সালে তিনি “এক্সএক্সএক্স: রিটার্ন অফ জ্যান্ডার কেজ” ছবিতে অভিনয় করে হলিউডে পদার্পণ করেন। সঞ্জয় লীলা বনশালির “বাজিরাও মস্তানি”-তে মস্তানি চরিত্রে তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত। ২০১৮ সালে তিনি তার দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড ও সহ-অভিনেতা রণবীর সিংকে বিয়ে করেন।

কেমন হয়েছে ব্ল্যাক মানি ওয়েব সিরিজ তা জানুন

অনুষ্কা শর্মা

২৮. অনুষ্কা শর্মা

জন্ম: ১ মে, ১৯৮৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “পিকে”, “সুলতান”, “এনএইচ১০”

বিশেষত্ব: একজন সফল মডেল থেকে অভিনেত্রী হিসেবে পরিণত হয়েছেন। তিনি নিজের প্রোডাকশন কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং মৌলিক গল্পের ছবিতে অভিনয় করেন।

অনুষ্কা শর্মা ২০০৮ সালে আদিত্য চোপড়ার “রব নে বানা দি জোড়ি” ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন এবং দ্রুতই শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের একজন হয়ে ওঠেন। “পিকে”, “সুলতান”, “জব হ্যারি মেট সেজল” যেমন ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি ২০১৩ সালে ক্লিন স্লেট ফিল্মস নামে নিজের প্রোডাকশন কোম্পানি শুরু করেন। তার প্রোডাকশন কোম্পানির প্রথম ছবি “এনএইচ১০” এবং ওয়েব সিরিজ “পাতাল লোক” উভয়ই সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা পায়। তিনি অনেক বড় ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এবং নিজেরও একটি ফ্যাশন লাইন ‘নুশ’ রয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে বিয়ে করেন এবং তারা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি।

২০২৪ সালের টপ ১২টি ইন্ডিয়ান ওয়েব সিরিজ

সোনাক্ষী সিনহা

২৯. সোনাক্ষী সিনহা

জন্ম: ২ জুন, ১৯৮৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “দবঙ্গ”, “লুটেরা”, “আর রাজকুমার”

বিশেষত্ব: ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যের প্রতিনিধি, সোনাক্ষী প্রথম ছবিতেই (দবঙ্গ) বক্স অফিস সাফল্য পেয়েছিলেন। তিনি তার আবেগপূর্ণ অভিনয়ের জন্য পরিচিত।

সোনাক্ষী সিনহা বিখ্যাত অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার পর ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে মডেলিং শুরু করেন। সলমান খানের “দবঙ্গ” ছবিতে তার বলিউড ডেবিউ ব্যাপক সাফল্য পায়। এর পরে তিনি “রাউডি রাঠোর”, “দবঙ্গ ২”, “আর রাজকুমার”, “সন অফ সর্দার” যেমন ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করেন। “লুটেরা” ও “আকিরা” যেমন ছবিতে তার অভিনয় দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পান। তিনি ২০০০-এর দশকের শেষের দিকে ও ২০১০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সৌন্দর্য ও স্থানীয় ছবিগুলিতে অভিনয়ের প্রবণতা তাকে গ্রামীণ ভারতে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

অসময় ওয়েব সিরিজ রিভিউ এবং ডাউনলোড প্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানুন

কঙ্গনা রানাউত

৩০. কঙ্গনা রানাউত

জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯৮৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “কুইন”, “তনু ওয়েডস মনু”, “মণিকর্ণিকা”

বিশেষত্ব: তার স্বতন্ত্র অভিনয় শৈলী ও বলিশ্ঠ ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত। ৪টি জাতীয় পুরস্কারসহ অনেক সম্মান অর্জন করেছেন। তিনি ফিল্ম পরিচালনাও করেন।

কঙ্গনা রানাউত বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত ও প্রতিভাবান অভিনেত্রী। “গ্যাংস্টার” ছবিতে ডেবিউর পর, তিনি “ফ্যাশন” ছবিতে অভিনয় করে প্রথম জাতীয় পুরস্কার জিতেন। তার কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে “কুইন” ছবিতে, যেখানে তিনি একজন সাধারণ মেয়ের স্ব-আবিষ্কারের গল্প চিত্রিত করেন। এই চরিত্রে তিনি দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার পান। “তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস” ও “মণিকর্ণিকা”/”পঙ্গা” (যৌথভাবে) ছবির জন্য আরও দুটি জাতীয় পুরস্কার জিতে তিনি মোট ৪টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন, যা কোনো অভিনেত্রীর জন্য সর্বোচ্চ। “মণিকর্ণিকা” থেকে তিনি পরিচালক হিসেবেও কাজ শুরু করেন। তিনি তার স্পষ্টবাদিতা ও বলিউডে নেপোটিজমের বিরুদ্ধে সরব থাকার জন্যও পরিচিত।

এনাকোন্ডা মুভি: সাপের আতঙ্কে ভরা হলিউডের সেরা হরর সিরিজের সম্পূর্ণ গাইড

শ্রদ্ধা কাপুর

৩১. শ্রদ্ধা কাপুর

জন্ম: ৩ মার্চ, ১৯৮৯

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “আশিকি ২”, “স্ট্রিট ডান্সার ৩ডি”, “হাসি তো ফাসি”

বিশেষত্ব: মধুর অভিনয় শৈলী ও নতুন প্রজন্মের দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তার জন্য পরিচিত। তিনি একজন প্রশিক্ষিত গায়িকাও।

শ্রদ্ধা কাপুর বিখ্যাত অভিনেতা শক্তি কাপুরের কন্যা। “টিন প্যাটি” (২০১০) ছবিতে ডেবিউ করলেও, ২০১৩ সালে মহেশ ভাটের “আশিকি ২” ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি জনপ্রিয়তা পান। এই রোমান্টিক মিউজিক্যাল ছবিতে তার অভিনয় ও গান দর্শকদের মন জয় করে। এরপর তিনি “এক ভিলেন”, “হাসি তো ফাসি”, “এবিসিডি ২”, “বাগী”, “স্ট্রিট” যেমন হিট ছবিতে অভিনয় করে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। “আশিকি ২”-এর “তুম হি হো” গানে নিজের গলায় গাওয়ার পর তিনি একজন প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবেও পরিচিতি পান। ২০২০ সালে প্রকাশিত “বাগী ৩” ছবি তার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার। হরর কমেডি “স্ট্রিট” (২০১৮) ও “স্ট্রিট ২” (২০২০) ফ্র্যাঞ্চাইজিও দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

বাংলা সিনেমা ডাউনলোড ওয়েবসাইট – A to Z গাইড | Bengali Movie Download Website

তাপসী পান্নু

৩২. তাপসী পান্নু

জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৮৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “পিঙ্ক”, “নাম শবানা”, “থাপ্পাড়”

বিশেষত্ব: শক্তিশালী, স্বাধীন নারী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত, তিনি বিষয়ভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করতে পছন্দ করেন এবং সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

তাপসী পান্নু তেলুগু ও তামিল সিনেমা দিয়ে অভিনয় যাত্রা শুরু করেন। ডেভিড ধাওয়ানের “চাশমে বদ্দুর” ছবিতে বলিউড ডেবিউর পর, তিনি “পিঙ্ক” (২০১৬) ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সাথে অভিনয় করে সুনাম পান। এই ছবিতে একজন যৌন হয়রানির শিকার নারীর ভূমিকায় তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এরপর তিনি “নাম শবানা”, “মুল্ক”, “বদলা”, “সূর্য্য পঙ্গম”, “থাপ্পাড়”, “হসীন দিলরুবা” যেমন বিষয়ভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করেন। তার বেশিরভাগ চরিত্রই শক্তিশালী, স্বাধীন নারীর, যারা সমাজের বাধা অতিক্রম করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ক্রীড়া-ভিত্তিক বায়োপিকেও অভিনয় করেছেন, যেমন “সান্ড কি আঁখ”, যেখানে তিনি শ্যুটার প্রতিমা দাসের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনি খেলোয়াড় এবং অক্স্মিতার মতো আনকনভেনশনাল ছবিতে অভিনয় করে বলিউডের একজন বিশ্বাসযোগ্য ও প্রশংসিত অভিনেত্রী হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

পাতাল লোক | অ্যামাজন প্রাইমের সেরা ক্রাইম থ্রিলার সিরিজ

আলিয়া ভাট

৩৩. আলিয়া ভাট

জন্ম: ১৫ মার্চ, ১৯৯৩

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “হাইওয়ে”, “উড়তা পঞ্জাব”, “গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি”

বিশেষত্ব: অল্প বয়সেই অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত, আলিয়া তার বিভিন্ন ধরনের চরিত্র ও আবেগপূর্ণ অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি বর্তমানে বলিউডের শীর্ষ তারকাদের একজন।

আলিয়া ভাট বিখ্যাত ফিল্ম মেকার মহেশ ভাটের কন্যা। ২০১২ সালে কারণ জোহরের “স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার” ছবিতে ডেবিউর পর, তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তার অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেন। ইমতিয়াজ আলির “হাইওয়ে” (২০১৪) ছবিতে একজন ডাকাতদের দ্বারা অপহৃত মেয়ের ভূমিকায় তার অভিনয় সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। “উড়তা পঞ্জাব”, “ডিয়ার জিন্দেগী”, “রাজি”, “গলি বয়” যেমন বিভিন্ন ধরনের ছবিতে সাফল্যের পর, ২০২২ সালে সঞ্জয় লীলা বনশালির “গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি”-তে অভিনয় করে তিনি নিজেকে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই ছবিতে তিনি একজন মাফিয়া কুইনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০২২ সালে তিনি হলিউড ফিল্ম “হার্ট অফ স্টোন”-এ বিপক্ষ চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক ডেবিউ করেন। তিনি বর্তমানে বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। ২০২২ সালে তিনি রণবীর কাপুরকে বিয়ে করেন।

লজ্জা ওয়েব সিরিজ ফুল মুভি: কাহিনি, কাস্ট এবং ফুল মুভি রিভিউ

জেনেলিয়া ডিসুজা

৩৪. জেনেলিয়া ডিসুজা

জন্ম: ৫ আগস্ট, ১৯৮১

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “জেনে তু… য়া জেনে না”, “ক্যাচ”, “তেরে নাল লভ হো গিয়া”

বিশেষত্ব: উজ্জ্বল, হাস্যোজ্জ্বল অভিনয় শৈলীর জন্য পরিচিত, জেনেলিয়া প্রধানত রোমান্টিক কমেডি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাতেও জনপ্রিয়।

জেনেলিয়া ডিসুজা ২০০৩ সালে “তুজে মেরি কসম” ছবিতে ডেবিউ করেন। “মাস্তি”, “ক্যাচ”, “জেনে তু… য়া জেনে না” যেমন সফল রোমান্টিক কমেডি ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। তার শিশুসুলভ চেহারা, প্রাণবন্ত হাসি ও স্বাভাবিক কমেডি টাইমিং তাকে দর্শকদের কাছে প্রিয় করে তোলে। কিছু হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি তেলুগু, তামিল, কন্নড় ও মালায়ালাম ছবিতেও সফল ছিলেন। তিনি কমেডি ছবিতে রিতেশ দেশমুখের সাথে জুটি বেঁধে বিশেষ জনপ্রিয়তা পান এবং পরবর্তীতে তাকে বিয়েও করেন। “ফোর্স” ছবিতে জন আব্রাহামের বিপরীতে তার দৃঢ় চরিত্রাভিনয় ও “জেনে তু… য়া জেনে না” ছবিতে একজন মৃত্যু রোগীর ভূমিকায় তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পায়।

বেস্ট ১০০ ওয়েব সিরিজ: দেখার মতো সেরা সংগ্রহ

কীর্তি সানন

৩৫. কীর্তি সানন

জন্ম: ১৭ জুন, ১৯৯২

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “নীরজা”, “পিঙ্ক”, “উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক”

বিশেষত্ব: অসাধারণ স্ক্রিন প্রেজেন্স ও অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত, তিনি ছোট চরিত্রে খুব ভালো অভিনয় করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কীর্তি সানন বলিউডের একজন উদীয়মান অভিনেত্রী, যিনি তার প্রাকৃতিক অভিনয় দক্ষতা ও আকর্ষণীয় স্ক্রিন প্রেজেন্স দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। “নীরজা” ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। “পিঙ্ক” ছবিতে একটি ছোট কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকায়, “উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক” ছবিতে একজন গোয়েন্দা অফিসারের ভূমিকায়, এবং “মিশন মঙ্গল” ছবিতে একজন ইসরো বিজ্ঞানীর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি প্রশংসা কুড়ান। এছাড়া “মার্দানি ২” ছবিতে অভিনয়ের জন্যও তিনি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বলিউডের একজন প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

নীল তারকাদের জীবনী | বিখ্যাত ৩০ জন

সমসাময়িক অভিনেত্রীরা (২০১০-বর্তমান)

২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, বলিউডে অনেক তারকা দেখা গেছে যারা শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।

দিশা পাটানি

৩৬. দিশা পাটানি

জন্ম: ১৩ জুন, ১৯৯২

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি”, “বাগি ২”, “মালাং”

বিশেষত্ব: অসাধারণ ফিটনেস ও স্পোর্টস অ্যাবিলিটির জন্য পরিচিত, দিশা একজন জনপ্রিয় মডেল থেকে অভিনেত্রী হয়েছেন।

দিশা পাটানি প্রথমে মডেলিং করতেন এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। তিনি ২০১৬ সালে “এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি” ছবিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকার ভূমিকায় বলিউড ডেবিউ করেন। এরপর টাইগার শ্রফের বিপরীতে “বাগি ২” ছবিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বেশ জনপ্রিয় হন। “মালাং”, “রাধে” ছবিতে তার অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে। জ্যাকি চেনের “কুং ফু ইয়োগা” ছবিতে চীনা-ভারতীয় যৌথ প্রযোজনায় অভিনয় করে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। দিশা তার অসাধারণ ফিটনেস ও অ্যাথলেটিক ক্ষমতার জন্যও পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লাখো অনুসারী রয়েছে, যেখানে তিনি তার জিমনাস্টিক ও মার্শাল আর্টস কৌশল ভাগ করে নেন। সুন্দর চেহারা ও ফিট শরীরের জন্য তিনি প্রায়শই ফ্যাশন ম্যাগাজিন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সুযোগ পান।

সেরা ১০০টি‌ তামিল গান

নোরা ফতেহি

৩৭. নোরা ফতেহি

জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “স্ট্রিট ড্যান্সার ৩ডি”, “সত্যমেব জয়তে”, “বাটলা হাউস”

বিশেষত্ব: অসাধারণ নৃত্য দক্ষতার জন্য বিখ্যাত, মরক্কোর এই অভিনেত্রী আইটেম নাম্বার ও নৃত্য-ভিত্তিক গানে বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছেন।

নোরা ফতেহি একজন মরোক্কান-কানাডিয়ান নর্তকী ও অভিনেত্রী, যিনি প্রথমে “বিগ বস” ও “ঝলক দিখলা জা” যেমন রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান। “দিলবার” (সত্যমেব জয়তে), “ও সাকী সাকী” (বাটলা হাউস), “গরমি” (স্ট্রিট ড্যান্সার ৩ডি) গানগুলিতে তার নৃত্য সারা ভারতে সেনসেশন তৈরি করে, এবং ইউটিউবে কোটি কোটি ভিউ পায়। এছাড়া “ভুজ: দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া”, “থ্যাঙ্ক গড” যেমন ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। তার বেলি ড্যান্স, ল্যাটিন ড্যান্স ও বলিউড স্টাইল নৃত্য-এর জন্য তিনি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। আরবি, হিন্দি, ফরাসি, ইংরেজি ও স্প্যানিশসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় তার দক্ষতা রয়েছে, যা তাকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সুবিধা দেয়। ২০২১ সালে তিনি “ডান্স মাতে ডান্স” রিয়েলিটি শো-তে বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন।

আমার হিয়ার মাঝে গানের অর্থ

জাকেলিন ফার্নান্দেজ,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৩৮. জাকেলিন ফার্নান্দেজ

জন্ম: ১১ আগস্ট, ১৯৮৫

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “কিক”, “রেস ২”, “জুডওয়া ২”

বিশেষত্ব: মিস শ্রীলঙ্কা ইউনিভার্স ২০০৬, জাকেলিন বলিউডে শ্রীলঙ্কার প্রথম প্রতিনিধি। তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নৃত্য দক্ষতার জন্য তিনি বিশেষ জনপ্রিয়।

জাকেলিন ফার্নান্দেজ শ্রীলঙ্কান-বহরাইনি বংশোদ্ভূত একজন অভিনেত্রী ও মিস শ্রীলঙ্কা ইউনিভার্স ২০০৬। সানি লিওনের “জানাত” ছবিতে তার বলিউড ডেবিউর পর, তিনি “হাউসফুল” সিরিজ, “কিক”, “রেস ২”, “রেস ৩”, “জুডওয়া ২”, “বড়াতে হো তো অইসে”, “রায়”, “ভূত পুলিস” যেমন অনেক ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করেন। সলমান খানের “কিক” ছবিতে তার অভিনয় তাকে একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। তার মিষ্টি চেহারা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নৃত্য দক্ষতার জন্য তিনি দর্শকদের প্রিয়। “চিটিয়াঁ কলাইয়াঁ” (রায়), “জুম্মা চুম্মা” (হাউসফুল ৩) যেমন গানে তার নৃত্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। জাকেলিন একাধিক ভাষায় দক্ষ, যার মধ্যে ইংরেজি, সিংহলি, আরবি, ফরাসি, ও হিন্দি অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বজুড়ে তার লাখো অনুসারী রয়েছে।

হানি সিংগারের গান: ইয়ো ইয়ো হানি সিং এর সংগীত জগতে অবদান

ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৩৯. ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ

জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯৮৬

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “বর্ফি”, “মেইন তেরা হীরো”, “রুস্তম”

বিশেষত্ব: দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাতে বিখ্যাত হওয়ার পর বলিউডে আসেন। তিনি তার ব্যতিক্রমী রূপ ও আবেগপূর্ণ অভিনয়ের জন্য পরিচিত।

ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ প্রথমে তেলুগু ও তামিল সিনেমাতে বিখ্যাত হন, এবং পরে ২০১২ সালে অনুরাগ বাসুর “বর্ফি” ছবিতে রণবীর কাপুর ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাথে বলিউড ডেবিউ করেন। এই ছবিতে তার অভিনয় সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায় এবং তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফিমেল ডেবিউ জিতেন। এরপর তিনি “ফেলুদা”, “হ্যাপি এন্ডিং”, “মেইন তেরা হীরো”, “রুস্তম”, “মুবারকান”, “রেইড”, “পগলপন্টি” যেমন ছবিতে অভিনয় করেন। ইলিয়ানা তার ব্যতিক্রমী রূপ, বিশেষত হাসি ও আবেগপূর্ণ অভিনয়ের জন্য পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি অভিষেক বচ্চনের সাথে “দ্য বিগ বুল” ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি শরীরের ইতিবাচক ধারণা ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সোচ্চার, এবং বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার নিয়ে তার নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেন, যা অনেক অনুসারীদের অনুপ্রেরণা জোগায়।

বাংলা ফোক গানের তালিকা | বিখ্যাত ফোক গানের লিস্ট

অদিতি রাও হায়দরি, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪০. অদিতি রাও হায়দরি

জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৯৮৬

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “লন্ডন প্যারিস নিউইয়র্ক”, “পদ্মাবত”, “দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন”

বিশেষত্ব: ক্লাসিক্যাল লুক ও প্রাকৃতিক অভিনয় শৈলীর জন্য পরিচিত, অদিতি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

অদিতি রাও হায়দরি একজন অভিনেত্রী ও মডেল, যিনি ২০০৬ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর মডেলিং ও বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু করেন। ২০১১ সালে “ইয়েহ সালি জিন্দেগী” ও “লন্ডন প্যারিস নিউইয়র্ক” ছবিতে বলিউড ডেবিউ করেন। এরপর তিনি “বস”, “ওয়াজির”, “পদ্মাবত”, “দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন”, “আরণ্যক” যেমন বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেন। সঞ্জয় লীলা বনশালির এপিক “পদ্মাবত”-এ রানি মেহরুনিসা চরিত্রে তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। ওয়েব সিরিজ “বার্ড অফ ব্লাড” ও “বন্ধিশ বন্ধিট”এও তিনি অভিনয় করেছেন। অদিতি তার ক্লাসিক্যাল ভারতীয় সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক অভিনয় শৈলী ও বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তার অভিনয় শৈলী অনেক সময় মেরিল স্ট্রিপের সাথে তুলনা করা হয়।

অনুপম রায়ের গান লিরিক্স: বাংলা গানের নবরূপায়ণ

সারা আলি খান,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪১. সারা আলি খান

জন্ম: ১২ আগস্ট, ১৯৯৫

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “কেদারনাথ”, “সিম্বা”, “লাভ আজ কাল”

বিশেষত্ব: প্রাক্তন সেলিব্রিটি জুটি সৈফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের কন্যা, সারা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তার বুদ্ধিমত্তা ও স্বাভাবিক অভিনয় তাকে বিশেষ করে তুলেছে।

সারা আলি খান বলিউডের জনপ্রিয় পাটান্দার (নেপোটিজম) পরিবারের একজন সদস্য, যেহেতু তিনি সৈফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের কন্যা এবং শার্মিলা ঠাকুরের নাতনি। তবে তিনি তার নিজস্ব যোগ্যতা ও প্রতিভা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতিবিজ্ঞানে স্নাতক করার পর, তিনি ২০১৮ সালে অভিষেক ভট্টাচার্যের “কেদারনাথ” ছবিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছরে রোহিত শেট্টির “সিম্বা” ছবিতে রণবীর সিংহের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি ব্লকবাস্টার হিট পান। “লাভ আজ কাল”, “কুলি নাম্বার ১”, “আতরাঙ্গি রে” ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। টক শো-তে তার বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ উত্তর ও সাবলীল ভাষণ শৈলী দর্শকদের মন জয় করেছে। ২০১৮ সালে তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফিমেল ডেবিউ জেতেন।

জিৎ গাঙ্গুলী সুপার হিট বাংলা গান | জিৎ গাঙ্গুলী

জাহ্নবী কাপুর, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪২. জাহ্নবী কাপুর

জন্ম: ৬ মার্চ, ১৯৯৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “ধড়ক”, “গুঞ্জন সাক্সেনা”, “রুহি”

বিশেষত্ব: প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক বোনি কাপুরের কন্যা, জাহ্নবী বলিউডের ঐতিহ্য বহন করছেন। তার প্রথম ছবি “ধড়ক” থেকেই সাফল্য পেয়েছেন।

জাহ্নবী কাপুর প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক বোনি কাপুরের কন্যা। তিনি বিখ্যাত কাপুর পরিবারের সদস্য। ২০১৮ সালে ধর্ম প্রোডাকশনের “ধড়ক” ছবিতে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন, যা “সৈরাট” নামক মারাঠি ছবির রিমেক ছিল। এই ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি জিফিলমফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফিমেল ডেবিউ জেতেন। এরপর তিনি “গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কারগিল গার্ল”, “রুহি”, “মিলি” যেমন ছবিতে অভিনয় করেন। “গুঞ্জন সাক্সেনা”-তে তিনি ভারতের প্রথম মহিলা যুদ্ধ পাইলটের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা পান। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর ২০১৮ সালে, জাহ্নবী অভিনয়ের পাশাপাশি মায়ের ঐতিহ্য বজায় রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। নৃত্য ও ফ্যাশনের প্রতি তার আগ্রহ রয়েছে, এবং তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়।

সালামের গানের লিরিক্স বিস্তারিত জানুন

অনন্যা পান্ডে, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৩. অনন্যা পান্ডে

জন্ম: ৩০ অক্টোবর, ১৯৯৮

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২”, “পতি পত্নী আওর ওহ”, “গেহরাইয়াঁ”

বিশেষত্ব: অভিনেতা চঙ্কি পান্ডের কন্যা, অনন্যা বলিউডের নতুন প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি। তার তাজা ভাবমূর্তি ও স্টাইল দর্শকদের মন কেড়েছে।

অনন্যা পান্ডে বিখ্যাত অভিনেতা চঙ্কি পান্ডের কন্যা। ২০১৯ সালে কারণ জোহরের “স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২” ছবিতে তিগার শ্রফ ও তারা সুতারিয়ার সাথে বলিউড ডেবিউ করেন। এই ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফিমেল ডেবিউ জিতেন। এরপর তিনি “পতি পত্নী আওর ওহ”, “খালি পিলি”, “গেহরাইয়াঁ” ছবিতে অভিনয় করেন। “গেহরাইয়াঁ”-তে দীপিকা পাড়ুকোন, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, ধাইর্য কারওয়ার সাথে তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পায়। অনন্যা তার ফ্যাশন সেন্স ও স্টাইলের জন্যও পরিচিত, এবং ২০১৯ সালে তিনি এলি সাব, সোনাম কাপুর, আনন্দ আহুজার ভঙ্গুর নামক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন। ২০২২ সালে তিনি “লাইগার” ছবিতে বিজয় দেবেরকোন্ডার বিপরীতে অভিনয় করেন, যা পান-ইন্ডিয়া রিলিজ পায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো অনুসারীর অধিকারী এবং জেন-জেড দর্শকদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়।

দেহতত্ত্ব গানের লিরিক্স: বাংলা লোকসংগীতের অমূল্য ঐতিহ্য

তারা সুতারিয়া,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৪. তারা সুতারিয়া

জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৯৯৫

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২”, “মর্জাভান”, “তাড়প”

বিশেষত্ব: মডেল থেকে অভিনেত্রী হয়েছেন, তারা তার সৌন্দর্য ও স্ক্রিন প্রেজেন্সের জন্য পরিচিত। তিনি নতুন প্রজন্মের দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়।

তারা সুতারিয়া একজন অভিনেত্রী ও মডেল। তিনি ডিজনি চ্যানেলের “সুইট লাইফ অফ কারন অ্যান্ড কবীর”-এ টিভি ডেবিউ করেন। ২০১৯ সালে কারণ জোহরের “স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২”-তে তিনি বলিউড ডেবিউ করেন, যেখানে তিনি তিগার শ্রফ ও অনন্যা পান্ডের সাথে অভিনয় করেন। এরপর তিনি “মর্জাভান”, “তাড়প”, “এক ভিলেন রিটার্নস” যেমন ছবিতে অভিনয় করেন। তারার পিতা হিমেশ কোহলি একজন বিজ্ঞাপন ফিল্ম মেকার ও কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফার। তিনি তার সৌন্দর্য, ফ্যাশন সেন্স ও ফটোজেনিক চেহারার জন্য জনপ্রিয়। মডেলিং ও অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, তিনি তার অভিনয় দক্ষতা উন্নত করতে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করছেন।

ভাবের গানের লিরিক্স: বাংলা সংস্কৃতির অমূল্য ঐতিহ্য ও ১৫+ বিখ্যাত গানের সংগ্রহ

রাশি খান্না, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৫. রাশি খান্না

জন্ম: ৩০ নভেম্বর, ১৯৯০

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “এম.এস. ধোনি”, “কেসরি”, “সূর্যবংশী”

বিশেষত্ব: দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা থেকে বলিউডে সফলভাবে পা রেখেছেন। তার শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি বিখ্যাত।

রাশি খান্না প্রথমে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাতে (তেলুগু ও তামিল) জনপ্রিয়তা পান। ২০১৬ সালে তিনি নীরজ পান্ডের “এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি” ছবিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে বলিউড ডেবিউ করেন। এই ছবিতে ধোনির স্ত্রী সাক্ষীর ভূমিকায় তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এরপর তিনি “কেসরি”, “সূর্যবংশী”, “বেল বটম” যেমন ছবিতে অভিনয় করেন। “কেসরি” ছবিতে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। অভিনয়ের পাশাপাশি, রাশি তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের জন্যও পরিচিত। তিনি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভার মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। রাশি খান্না বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রাখেন এবং তার কেরিয়ার ক্রমশ উন্নতি করছে।

বাংলা ভাইরাল গানের লিরিক্স: সাম্প্রতিক জনপ্রিয় ১০টি গানের পূর্ণাঙ্গ সংগ্রহ ও তথ্য

অন্যান্য ভারতীয় চলচ্চিত্র থেকে বলিউডে আসা অভিনেত্রীরা

অনেক অভিনেত্রী আঞ্চলিক চলচ্চিত্র শিল্প থেকে বলিউডে আসেন এবং বড় পর্দায় সফলতা অর্জন করেন। তাদের আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা হিন্দি সিনেমাকে সমৃদ্ধ করেছে।

সামান্থা রুথ প্রভু, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৬. সামান্থা রুথ প্রভু

জন্ম: ২৮ এপ্রিল, ১৯৮৭

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “দ্য ফ্যামিলি ম্যান (ওয়েব সিরিজ)”, “সুপার ডিলাক্স”, “এয়ক দেবম”

বিশেষত্ব: দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার এক জনপ্রিয় মুখ, সামান্থা ওয়েব সিরিজ “দ্য ফ্যামিলি ম্যান” এর মাধ্যমে পান-ইন্ডিয়া স্টার হয়ে ওঠেন। তার অভিনয় দক্ষতা ও মঞ্চ উপস্থিতি অতুলনীয়।

সামান্থা রুথ প্রভু দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সফল অভিনেত্রী, যিনি তেলুগু, তামিল, মালায়ালাম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অমেজন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ “দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২”-তে রাজি নামক এক তামিল বিদ্রোহী নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি সারা ভারতে জনপ্রিয়তা পান। এই চরিত্রে তার অভিনয় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে সিরিজটি রিলিজের পর তার নাম #SamanthaRuthPrabhu হ্যাশট্যাগ টুইটারে ট্রেন্ড করেছিল। ২০১০ সালে তিনি “এয়ক দেবম” ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তেলুগু সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন, এবং এই ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ডেবিউ (সাউথ) জিতেন। এরপর “এয়ক এয়ক”, “নিত্তানি ফ্রেন্ডস”, “বাবা”, “সুপার ডিলাক্স”, “ও বেবি” যেমন অনেক সফল দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করেন। তার কেরিয়ারে ৪টি ফিল্মফেয়ার দক্ষিণ পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার রয়েছে। নাটকীয় চরিত্র থেকে শুরু করে কমেডি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে তার অভিনয় দক্ষতা তাকে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী বানিয়েছে।

অরিজিৎ সিং এর হিন্দি গানের লিরিক্স: সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ ও জনপ্রিয় গানের তালিকা (২০২৫)

তামান্না ভাটিয়া,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৭. তামান্না ভাটিয়া

জন্ম: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “বাহুবলী”, “হিম্মতওয়ালা”, “এন্টারটেনমেন্ট”

বিশেষত্ব: দক্ষিণ ভারতীয় ও হিন্দি চলচ্চিত্রে সমানভাবে সফল। তিনি তার নৃত্য দক্ষতা ও সাবলীল অভিনয়ের জন্য পরিচিত।

তামান্না ভাটিয়া তেলুগু, তামিল ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি ২০০৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেন। দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার প্রথম হিট ছিল ২০০৬ সালের “হ্যাপি ডেজ”। ২০১৩ সালে তিনি অজয় দেবগনের সাথে “হিম্মতওয়ালা” এবং ২০১৪ সালে অক্ষয় কুমারের সাথে “এন্টারটেনমেন্ট” ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে আসেন। তিনি এস.এস. রাজামৌলির ব্লকবাস্টার “বাহুবলী” ফ্র্যাঞ্চাইজির উভয় পর্বে অবন্তিকা চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ জনপ্রিয়তা পান। তিনি “সিয়া” (২০২৩) যেমন হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তামান্না তার অসাধারণ নৃত্য দক্ষতার জন্যও পরিচিত। “বাহুবলী”-তে “পরবাসল্ল” গানে তার নৃত্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। ২০২৩ সালে তিনি “লাস্ট ভেডাস”-এ বিজয় সেতুপতির সাথে অভিনয় করেন, যা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায়।

বাংলা ব্যান্ড গানের লিরিক্স ক্যাপশন

পূজা হেগড়ে,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৮. পূজা হেগড়ে

জন্ম: ১৩ অক্টোবর, ১৯৯০

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “মহর্ষি”, “অলা ভাইকুণ্ঠপুরমুলু”, “জয় হো”

বিশেষত্ব: দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করার পর বলিউডে পদার্পণ করেন। তার স্বাভাবিক অভিনয় ও মেধা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

পূজা হেগড়ে একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল, যিনি প্রধানত তেলুগু, তামিল ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ২০১০ সালে “মুখ্তার” নামক তামিল ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর “অলা ভাইকুণ্ঠপুরমুলু”, “এআরএআর”, “মহর্ষি”, “রাধে শ্যাম”, “বিস্ত” যেমন দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে “মোহেনজো দারো” ছবিতে ঋতিক রোশনের বিপরীতে এবং ২০১৯ সালে “হাউসফুল ৪”-তে অক্ষয় কুমার, রিতেশ দেশমুখ, বাবি দেওলের সাথে অভিনয় করে বলিউডে আসেন। পূজা তার মিষ্টি চেহারা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার জন্য জনপ্রিয়। তার পান-ইন্ডিয়া ছবি “রাধে শ্যাম” প্রভাসের সাথে ২০২২ সালে মুক্তি পায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় এবং লাখো অনুসারী রয়েছে।

৩০ টি বেস্ট বাংলা দুঃখের গানের লিরিক্স

সাই পল্লবী, হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৪৯. সাই পল্লবী

জন্ম: ৯ এপ্রিল, ১৯৯২

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “প্রেমম”, “ফিদা”, “শ্যাম সিংহা রায়”

বিশেষত্ব: তেলুগু ও মালায়ালাম চলচ্চিত্রে সাফল্য পাওয়ার পর বলিউডে যাত্রা শুরু করেছেন। তার অভিনয়ে আবেগ ও প্রাণবন্ততা আছে।

সাই পল্লবী একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি প্রধানত তেলুগু ও মালায়ালাম ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ২০১৩ সালে “প্রেমম” ছবিতে মালায়ালাম সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন, যা ব্লকবাস্টার হিট হয়। এরপর তিনি তেলুগু সিনেমায় আসেন এবং “ফিদা”, “এমআরসি”, “কার্তি” যেমন ছবিতে অভিনয় করেন। ২০২২ সালে তিনি অল্যাউজের “শ্যাম সিংহা রায়”-তে ডিউল রোলে অভিনয় করে সাফল্য পান। ২০২৩ সালে রাজকুমার রাও’র সাথে “শ্রী” ছবিতে বলিউড ডেবিউ করেন। তিনি ২০১৭ সালের “ফিদা” ছবিতে ভরুণ তেজের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট তেলুগু অ্যাক্ট্রেস জিতেন। সাই পল্লবী তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও আবেগপূর্ণ অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি বিভিন্ন ভাষার সিনেমাতে কাজ করতে পারেন এবং প্রতিটি চরিত্রে নিজের স্বতন্ত্র ছাপ রাখেন।

সর্বকালের সেরা বাংলা গানের তালিকা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |

আন্তর্জাতিক প্রভাব সৃষ্টিকারী অভিনেত্রীরা

কিছু ভারতীয় অভিনেত্রী তাদের প্রতিভা ও কর্মের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রভাব ফেলেছেন। তারা বিশ্ব চলচ্চিত্রের মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

ফ্রিদা পিন্টো,‌হিন্দি নায়িকাদের নাম ও ছবি

৫০. ফ্রিদা পিন্টো

জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৯৮৪

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: “স্লামডগ মিলিয়নেয়ার”, “রাইজ অব দ্য প্ল্যানেট অফ দ্য এপস”, “মাউন্টি অফ দ্য ফল মুন”

বিশেষত্ব: “স্লামডগ মিলিয়নেয়ার” এর সাফল্যের পর অনেক বিদেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন সামাজিক কর্মী হিসেবেও সক্রিয়।

ফ্রিদা পিন্টো একজন ভারতীয়-ব্রিটিশ অভিনেত্রী, যিনি ড্যানি বয়েলের অস্কার-বিজয়ী “স্লামডগ মিলিয়নেয়ার” (২০০৮) ছবিতে লাতিকার ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি স্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড অ্যাওয়ার্ড (অনসাম্বল) ও বাফটা অ্যাওয়ার্ড জিতেন। এরপর তিনি “রাইজ অফ দ্য প্ল্যানেট অফ দ্য এপস”, “ইমরতেল্স”, “নাইট অফ মিস্টেরি”, “ট্রিশনা”, “ডেজার্ট ড্যান্সার”, “নাইট অফ মিস্টেরি”, “রিচার্ড” যেমন আন্তর্জাতিক ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি জেরেমি আয়রনসের সাথে “দ্য টাউয়ার” টেলিভিশন ড্রামাতেও অভিনয় করেছেন। ফ্রিদা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় এবং “গার্লস রাইটস প্রজেক্ট” ও “পিলন” যেমন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেন, যারা বিকাশশীল দেশের মেয়েদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ করে। তিনি ভারতীয় শিল্পীদের জন্য আন্তর্জাতিক দরজা খুলে দেওয়ার জন্য অবদান রেখেছেন।

রোমান্টিক বাংলা গানের লিরিক্স | Arijit Singh

সাধারণ জিজ্ঞাসা: হিন্দি নায়িকাদের সম্পর্কে

প্রশ্ন: বলিউডের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অভিনয় করা অভিনেত্রী কে?

উত্তর: ওয়হিদা রহমান বলিউডের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয় করেছেন। তিনি ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনেমায় অভিনয় করে চলেছেন। তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫০-এর দশকে এবং তিনি এখনও মাঝে মাঝে ছবিতে অভিনয় করেন। তার পরে রেখা, হেমা মালিনী, ও রাখি অনেক দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয় করেছেন।

প্রশ্ন: বলিউডের সর্বাধিক জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী কে?

উত্তর: কঙ্গনা রানাউত সর্বাধিক জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী। তিনি ৪টি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন – “ফ্যাশন”, “কুইন”, “তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস”, এবং “মণিকর্ণিকা”/”পঙ্গা” (যৌথভাবে) ছবির জন্য। তার পরে বিদ্যা বালান আছেন, যিনি ১টি সেরা অভিনেত্রী (দি ডার্টি পিকচার) ও ১টি সেরা সহ-অভিনেত্রী (পাা) জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন।

প্রশ্ন: কোন ভারতীয় অভিনেত্রী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি সফল?

উত্তর: প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে সফল ভারতীয় অভিনেত্রী বলা যেতে পারে। তিনি হলিউড ছবি, মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ “কোয়ান্টিকো”-তে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে অনেক ব্র্যান্ডের মুখ হিসেবে কাজ করছেন। তার সাথে দীপিকা পাড়ুকোন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও ফ্রিদা পিন্টোও আন্তর্জাতিক স্তরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।

প্রশ্ন: ৯০-এর দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কারা ছিলেন?

উত্তর: ৯০-এর দশকে মাধুরী দীক্ষিত, কাজল, জুহি চাওলা, রানি মুখার্জী, ও মনীষা কোইরালা সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। বিশেষ করে মাধুরী ও কাজল সেই দশকে বক্স অফিস কুইন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দশকের শেষের দিকে ঐশ্বরিয়া রাই, প্রিটি জিন্টা, করিশ্মা কাপুর ও তাবু-ও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

প্রশ্ন: ভারতীয় সিনেমায় সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী কে?

উত্তর: বর্তমানে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ও আলিয়া ভাট ভারতীয় সিনেমায় সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে আছেন। প্রতি ছবিতে তারা ১০-১৫ কোটি রুপি পর্যন্ত পেয়ে থাকেন, যা অভিনেত্রীদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। তবে, এখনও বলিউডে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মধ্যে পারিশ্রমিকের বিশাল পার্থক্য রয়েছে।

উপসংহার: বলিউড সিনেমার ইতিহাসে নারীদের অবদান

হিন্দি সিনেমার শতাধিক বছরের ইতিহাসে, অভিনেত্রীরা শুধু মনোরঞ্জনই করেননি, ভারতীয় সংস্কৃতি ও সমাজের রূপান্তরেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। স্বর্ণযুগের নূরজাহান ও মধুবালা থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের দীপিকা পাড়ুকোন ও আলিয়া ভাট, প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব শৈলী ও প্রতিভা দিয়ে হিন্দি সিনেমাকে সমৃদ্ধ করেছেন।

সময়ের সাথে সাথে, অভিনেত্রীদের ভূমিকা ও প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আগে যেখানে তাদের প্রধানত নায়কের সাথে রোম্যান্স করতে দেখা যেত, এখন তারা শক্তিশালী, স্বাধীন চরিত্রে অভিনয় করছেন, যা সমাজে নারীর বদলে যাওয়া অবস্থানের প্রতিফলন। আজকের দিনে, অনেক বলিউড অভিনেত্রী শুধু তাদের অভিনয় দক্ষতার জন্যই নয়, সামাজিক কারণে সোচ্চার হওয়া, ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেওয়া এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের জন্যও পরিচিত।

বলিউডের এই প্রতিভাবান নায়িকারা কেবল ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পেই নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের মানচিত্রে ভারতের স্থান সুদৃঢ় করতেও সাহায্য করেছেন। তাদের অবদান বলিউডকে শুধু স্থানীয় শিল্প থেকে একটি বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত করেছে। তারা ভারতীয় সংস্কৃতি, সৌন্দর্যবোধ ও মূল্যবোধের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের সামনে ভারতকে তুলে ধরেছেন।

আমরা এই নিবন্ধে ৫০+ অভিনেত্রীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেছি, কিন্তু তাদের প্রত্যেকের জীবন ও অবদান আরও গভীর অধ্যয়নের যোগ্য। তাদের গল্প আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে উদযাপন করতে সাহায্য করে। বলিউড নায়িকারা শুধু পর্দায় সৌন্দর্য ও আবেগের প্রতিনিধি নন, তারা প্রতিভা, সাহস ও দৃঢ়তার প্রতীক। তাদের যাত্রা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সমাজের যেকোনো ক্ষেত্রে নারীরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করতে পারেন, যদি তাদের সমান সুযোগ ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।


Latest articles

Related articles